মাজারের টাকা লুটের মামলা: চার র‌্যাব কর্মকর্তাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন

আদালততল্লাশির নামে তালসরা দরবারের টাকা লুটের মামলায় র‌্যাব-৭ এর তৎকালীন অধিনায়ক (বরখাস্ত) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুলফিকার আলী মজুমদারসহ সাত জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নূরে আলম অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মামলার বিচারকাজ শুরুর আদেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাহাব উদ্দিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অভিযুক্ত আসামিরা হলেন- লেফটেন্যান্ট কর্নেল (বরখাস্ত) জুলফিকার আলী মজুমদার, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট (বরখাস্ত) শেখ মাহমুদুল হাসান, র‌্যাব-৭ এর সাবেক ডিএডি আবুল বাশার, এসআই তরুণ কুমার বসু, র‌্যাবের তিন সোর্স দিদারুল আলম ওরফে দিদার, আনোয়ার মিয়া ও মানব বড়ুয়া।

অ্যাডভোকেট সাহাব উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আদালত দণ্ডবিধির ৩৯৫ ও ৩৯৭ ধারায় ডাকাতির মামলায় সাত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন। পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নূরে আলমের আদালত অভিযোগ গঠন করেন।’ আদালত এই মামলায় আগামী ২৩ অক্টোবর বাদীর সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন বলে তিনি জানান।

আদালত সূত্র জানায়, আনোয়ারা উপজেলার তালসরা দরবার থেকে দুই কোটি ৭ হাজার টাকা লুটের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১১ সালের ৪ নভেম্বর র‌্যাব-৭ সদস্যরা তল্লাশির নামে ওই দরবারের টাকাগুলো লুট করেন। পরে এ ঘটনায় ২০১২ সালের ১৩ মার্চ আনোয়ারা থানায় র‌্যাবের ১২ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। দরবারের পীরের গাড়িচালক মো. ইদ্রিস বাদী হয়ে ওই মামলা দায়ের করেন।

তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ২৬ জুলাই জুলফিকার আলী মজুমদারসহ সাত জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আনোয়ারা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুস সামাদ। অভিযোগপত্রে ৪২ জনকে সাক্ষী করা হয়েছিল। ২০১২ সালের ৩০ জুলাই অভিযোগপত্রটি আদালতে নথিভুক্ত হয় এবং ২৮ আগস্ট গ্রহণযোগ্যতার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

অভিযোগপত্র দাখিলের পর আসামি ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট (বরখাস্ত) শেখ মাহমুদুল হাসানের আবেদন বিবেচনায় নিয়ে হাইকোর্ট ২০১২ সালের ২৮ নভেম্বর থেকে এর কার্যক্রম স্থগিত করেছিলেন। চলতি বছরের ১৮ আগস্ট মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি এম মোয়াজ্জেম হোসেন ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ। এরপর ফের মামলার বিচারকাজ শুরু হয়।

আরও পড়ুন- প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে এমসিকিউ পদ্ধতি বাদ দেওয়ার পক্ষে সচিব