বান্দরবানে কোনও রোহিঙ্গা থাকতে পারবে না: জেলা প্রশাসক

 বান্দরবানে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন

বান্দরবান জেলায় কোনও রোহিঙ্গা শরনার্থী থাকতে পারবে না উল্লেখ করে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক বলেছেন,‘ তাদের সবাইকে পর্যায় ক্রমে কক্সবাজারের কুতুপালং, বালুখালী ও ঠ্যাংগাখালীতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’ মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে বান্দরবান জেলা প্রশাসক মিলনায়তনে রোহিঙ্গা শরনার্থী বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি চাকঢালা সীমান্ত এলাকার বড় ছনখোলা, শাপমারা ঝিরি, ফুলতলী এ ৩টি পয়েন্টে ১ হাজার ৯৭৩টি পরিবার ও পাহাড় পাড়া ১ ও পাহাড় পাড়া ২, কোনা পাড়া ও পশ্চিমকুল পাড়াসহ ৪টি পয়েন্টে ৭ হাজার ২শ’ পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। এই ৭টি পয়েন্টে  মোট ৯ হাজার ১৭৩টি পরিবারের মধ্যে ২ হাজার ৭৭৩টি পরিবার নিবন্ধিত হলেও এখনো ৬ হাজার ৪শ’ পরিবার অনিবন্ধিত রয়েছে। তাদেরকেও নিবন্ধনের আওতায় আনার পক্রিয়া চলছে।

তিনি বলেন, ‘বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের চাকঢালা ও ঘুমধুম সীমান্তে ৪টি ত্রাণ কেন্দ্র থাকলেও বালুখালীর পাহাড় পাড়া ১ ও পাহাড় পাড়া ২ এর দুটি পয়েন্ট থেকে ৪ হাজার ৮শ’ পরিবারকে কক্সবাজারের বালুখালী ও ঠ্যাংগাখালিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই এ দুটি ত্রাণ কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বর্তমানে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের বাকি যে পয়েন্টগুলো রয়েছে সেখানে এখন থেকে যে কেউ চাইলেই ত্রাণ দিতে পারবে না। যারা ত্রাণ দিতে আগ্রহী তাদের প্রশাসনের মাধ্যমে দিতে হবে। ত্রাণ দেওয়ার সুবিধার্থে নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও ঘুমধুমে জেলা প্রশাসনের নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বান্দরবান সদর জোনের উপ অধিনায়ক মেজর মো. শফিক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মো. কামরুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন অংশৈ প্রু চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দিদারে আলম, মো. মাকসুদ চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মফিদুল আলম, বান্দরবান প্রেস ক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু ও সেক্রেটারি ফরিদুল আলম সুমনসহ বান্দরবানে কর্মরত প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।