ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ মামলায় ব্যবসায়ী কারাগারে

দুদকযমুনা ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে প্রায় ৭২ কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে দুদকের মামলায় সাঈদ ফুড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সাঈদ চৌধুরীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) মহানগর দায়রা জজ শাহে নূর এর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আদালত পরিদর্শক এমরান হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

দুটি পৃথক এলসির বিপরীতে যমুনা ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে সুদসহ ৭১ কোটি ৯২ লাখ ৩ হাজার ১১৬ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে মামলাটি দায়ের করা হয়। গত ৩০ জুলাই দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সিরাজুল হক বাদী হয়ে নগরীর কোতোয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেন। একই মামলায় যমুনা ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখার তৎকালীন ব্যবস্থাপক মঞ্জুরুল আহসান চৌধুরীকে আসামি করা হয়।

দুদক পরিদর্শক এমরান হোসেন বলেন, ‘গত ৩০ আগস্ট মামলা দায়েরের পর আবু সাঈদ চৌধুরী উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন নেন। গতকাল সোমবার জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আজ  আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’

মামলার এজহারে বলা হয়েছে, আবু সাঈদ ফুড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সাঈদ চৌধুরী অস্ট্রেলিয়া থেকে ২০ মেট্রিক টন গম আমাদানির লক্ষ্যে ২০১১ সালের ১ নভেম্বর ৬৭ লাখ ৬০ হাজার ইউএস ডলারের এলসি খোলেন। কিন্তু গমগুলো আমাদানির পর তিনি ওই টাকা পরিশোধ করেননি। ওই সময় তিনি সুদসহ ৬১ কোটি ২৯ লাখ ৮৪ হাজার ৯২১ টাকা আত্মসাৎ করেন।

অন্যদিকে ২০১২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তার মালিকানাধীন আরেকটি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সিদ্দিক ট্রেডার্স’র পক্ষে আবু সাঈদ চৌধুরী চিনি ক্রয়ের জন্য ওই ব্যাংকে আরেকটি এলসি খোলেন। ওই এলসির বিপরীতে মঞ্জুরি পত্রের শর্ত ভঙ্গ করে সুদসহ ৪ কোটি ৬৫ লাখ ৫৬ হাজার ৬০১ টাকা আত্মসাৎ করেন।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, এই ৭১ কোটি ৯২ লাখ ৩ হাজার ১১৬ টাকা আত্মসাতের ক্ষেত্রে যমুনা ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখার তৎকালীন ব্যবস্থাপক মঞ্জুরুল আহসান চৌধুরী সহযোগিতা করেন। তার যোগসাজসে আবু সাঈদ চৌধুরী এই অর্থ আত্মসাৎ করতে সক্ষম হন।

আরও পড়ুন:

সেই রশিদ ও লায়েককে নিয়েই মিটিং করলেন তিন মন্ত্রী