পুলিশের জিম্মায় ‘ব্লু হোয়েল গেম’ আসক্ত এক চবি শিক্ষার্থী

ব্লু হোয়েল ও চবির লোগোআত্মহত্যায় প্ররোচিত করা আলোচিত ‘ব্লু হোয়েল গেম’-এ আসক্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে কাউন্সিলিংয়ের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ওই শিক্ষার্থীর এক পরিচিত বড় ভাইয়ের তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে তাকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়, বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাটহাজারী সার্কেল) আব্দুল্লাহ আল মাসুম।
তবে ‘ব্লু হোয়েল গেম’ খেলায় আসক্ত ওই শিক্ষার্থীর পরিচয় জানায়নি পুলিশ। পুলিশ জানায়, তাদের হেফাজতে নেওয়া ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ১ম বর্ষে পড়াশুনা করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মাসুম বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ‘ব্লু হোয়েল গেম’ এ আসক্ত ওই শিক্ষার্থীর তথ্য তারই বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক বড় ভাই পুলিশকে জানায়। ইমরান নামের ওই বড় ভাই তার (আসক্ত শিক্ষার্থী) হাতে তিমি আঁকা দেখে পুলিশকে জানালে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনের সহায়তায় ওই শিক্ষার্থীকে নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ।

তিনি আরও বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থী যেই মোবাইল দিয়ে গেম খেলতো ওই মোবাইলসহ তার ব্যবহৃত সব ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস তার কাছ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাকে জেলা পুলিশ কার্যালয়ের রেখে কাউন্সিলিং করা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সে ব্লু হোয়েল গেম’ এর পঞ্চম স্টেজে ছিল। আমরা যেটা জেনেছি, ব্লু হোয়েল খেলার ক্ষেত্রে সাধারণত ২০ নম্বর ধাপের পরে হাতে তিমি আঁকতে বলা হয়। কিন্তু তার ক্ষেত্রে এসব নির্দেশনা প্রাথমিক পর্যায়েই দেওয়া হচ্ছে।’

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (চট্টগ্রাম উত্তর জেলা) মশিউদ্দৌলা রেজা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ছেলেটি আমাদের হেফাজতে আছে। আমরা তাকে কাউন্সিলিং করার মাধ্যমে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি। সে এখন যে পর্যায়ে আছে তাতে কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।’
মশিউদ্দৌলা রেজা বাংলা ট্রিবিউনকে আরও বলেন, ‘ছেলেটি আমাদের কাছে স্বীকার করেছে গত ৫ অক্টোবর রাত ২টার দিকে তার ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে আসা একটি লিংকে কৌতূহলবশত সে ক্লিক করে। তারপরই তার মোবাইলে ব্লু হোয়েল গেমটি ডাউনলোড হয়। এরপর সে চারটি ধাপ খেলে, প্রথম ধাপে সারারাত ক্যাম্পাসে হাঁটা, দ্বিতীয় ধাপে হলের বিল্ডিংয়ে হাঁটা, তৃতীয় ধাপে ব্লেড দিয়ে হাতে নীল তিমি আঁকা, আর চতুর্থ ধাপে সারাদিন চুপচাপ বসে থাকার নির্দেশনা পেয়েছিলো সে।’