বাগদাদে অপহৃত ফেনীর হালিমের পরিবারে চলছে শোকের মাতম

অপহৃত হালিমের পরিবারইরাকের বাগদাদে অপহৃত ফেনীর ছাগলনাইয়ার যুবক হালিমের (৩২) পরিবারে শোকের মাতম চলছে। গত ২ নভেম্বর তাকে ভালো চাকরির কথা বলে বাগদাদ শহর থেকে কয়েকজন বাংলাদেশি অপহরণ করে নিয়ে যায়।

সোমাবার সকালে উপজেলার পাঠাননগর ইউপির হরিপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, আবদুল হালিমের বাবা নুর আহাম্মদ (৭৫), মা হোসনে আরা বেগম (৬২), ৪ বছরের একমাএ সন্তান ওমর ফারুক ও স্ত্রী শিরিনা আক্তারসহ স্বজনরা হালিমের শোকে কান্নাকাটি করছেন।

হালিমের বাবা নুর আহাম্মদ জানান, গত ২ নভেম্বর ৫০০ ডলার বেতনের চাকরি দেওয়ার কথা বলে ইরাকের বাগদাদ শহর থেকে হালিম ও টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলার গুনিপাড়া গ্রামের মমিনুলকে (২২) অপহরণ করে নিয়ে যায় কয়েকজন বাংলাদেশি। অপহরণের পর তাদেরকে নির্যাতন করার ছবি তাদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে অপহরণকারীরা ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণের টাকা না দিলে তার ছেলেকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় সন্ত্রাসীরা।

তিনি আরও জানান, হালিমের মামাতো ভাই ওবায়দুন নুর ১২ নভেম্বর দাবিকৃত টাকা নিয়ে তাদের দেওয়া তথ্য মতে ব্রাক্ষণবাড়ীয়া যান। সেখানে সদর থানা পুলিশের সহযোগিতায় বিজয়নগর একটি নদীর পাড়ের নির্জন এলাকা থেকে টাইগার সুমন নামে একজনকে আটক করা হয়। পুলিশ সুমনের ওপর চাপ সৃষ্টি করলে এই ঘটনায় আটক অপর যুবক মমিনুলকে অপহরণকারীরা ছেড়ে দেয়।

হালিমের মামাতো ভাই ওবায়দুন নুর জানান, মমিনুল তার বাবার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলে জানিয়েছেন অপহরণকারীরা তাকে ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু হালিমকে ৪-৫ দিন আগে হত্যা করা হয়েছে।

ব্রাক্ষণবাড়ীয়া সদর থানার পরিদর্শক মো. নবীর হোসেন জানান, হালিমের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে হালিমকে হত্যা করা হয়েছে না জীবিত আছে এ ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি।