রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাড়ছে ‘এইচআইভি’ আক্রান্তের সংখ্যা

রোহিঙ্গা ক্যাম্প (ছবি: আবদুল আজিজ)মিয়ানমারের রাখাইনে সহিংসতার পর বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে ‘এইচআইভি’/এইডস- এ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ইতোমধ্যে দুই বছরের শিশুসহ ৭৮ জন এইচআইভি রোগী বলে শনাক্ত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এসব রোগীকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। তবে আক্রান্তদের অধিকাংশ নারী বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

চিকিৎসকরা বলছেন, রোহিঙ্গা যে হারে আসছে, সে হার অনুযায়ী এইচআইভি রোগীর সংখ্যা পাঁচ হাজারের কাছাকাছি চলে যেতে পারে। এই মরণব্যাধি রোগের পাশাপাশি রোহিঙ্গারা সর্দি, কাশি, জ্বর, ডায়রিয়া, মাথাব্যথাসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাদের সরকারি-বেসরকারিভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এসব রোহিঙ্গা রোগীদের জন্য উখিয়ায় ২৭টি ও টেকনাফে ১৪টি মেডিক্যাল টিম কাজ করছে। রয়েছে গর্ভবর্তী মা ও নবজাতক শিশুদের জন্য বিশেষ চিকিৎসা।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. শাহীন আবদুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘এইডস রোগের জন্য চিহ্নিত ঝুঁকিপূর্ণ দেশ মিয়ানমার। এ কারণে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অনেকের শরীরে এইচআইভি জীবাণু থাকতে পারে। রোহিঙ্গারা আসার পর থেকে দিন দিন বাড়ছে এইডস রোগীর সংখ্যা। এভাবে চলতে থাকলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এই রোগের সংখ্যা পাঁচ হাজারের কাছাকাছি চলে যেতে পারে। তবে এসব রোগীদের রোগ প্রতিরোধে দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে স্বাস্থ্যবিভাগ।’

তিনি আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এইচআইভি রোগ ছাড়াও হাম, যক্ষ্মা, পোলিও, কলেরা ও ডায়রিয়া রোগ প্রতিরোধ এবং মৃত্যুর ঝুঁকি এড়াতে টিকা ও চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি কলেরা রোগ প্রতিরোধে ৯ লাখ রোহিঙ্গাদের টিকা খাওয়ানোর কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এছাড়া অপুষ্টিজনিত শিশুদের বিশেষ টিকা ও খাদ্য দেওয়া হয়েছে।’

কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডা. আবদুস সালাম বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৭৮জন এইডস রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে ১২ জন শিশু, ২৮ জন পুরুষ ও ৩৮ জন নারী রয়েছেন।’