জামিনে মুক্ত হওয়ার পর সাবেক সিভিল সার্জন তার প্রতিক্রিয়ায় গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় এবং সিনিয়র চিকিৎসকরা যেন অসম্মানিত ও অপমানিত না হন সেই দাবি জানাচ্ছি। একইসঙ্গে মোবাইল কোর্টের নামে যে অপতৎপরতা চালানো হচ্ছে অবশ্যই এটি বন্ধ করতে হবে। যারা এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাই।’
এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ডা. আশফাকুর রহমান মামুন, ডা. নিজাম উদ্দিন, ডা. জাকির হোসেন, ডা. নুরুল ইসলাম, ডা. হামিদ প্রমুখ।
সালাউদ্দিনের আইনজীবী রাসেল মাহমুদ মান্না জানান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে ডা. সালাউদ্দিন শরীফের জামিন আবেদন করলে আদালত ৫ হাজার টাকার মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন।
প্রসঙ্গত, সোমবার (৪ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসন পরিচালিত শহরের কাকলি স্কুলের প্রবেশ পথে আগে-পরে যাওয়াকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মুর্শিদুল ইসলাম ও ডা. সালাহ উদ্দিন শরীফের বড় ছেলে মিনহাজের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এসময় ডা. সালাহ উদ্দিন এগিয়ে এসে পরিচয় জানতে চান। কিন্তু এডিসি পরিচয় না দিয়ে তার সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন।
পরে পুলিশ ডেকে ডাক্তারকে আটক করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয় সালাহ উদ্দিন শরীফকে। খবর পেয়ে জেলায় কর্মরত চিকিৎসকরা ক্ষুব্ধ হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ছুটে যান। বিক্ষুব্ধ অবস্থায় চিকিৎসকরা প্রশাসনের সব সেবা কার্যক্রম ও সব হাসপাতাল-ক্লিনিক বন্ধ রাখার হুমকি দিয়ে নিঃশর্তভাবে ওই চিকিৎসকের মুক্তি দাবি করেন। জেলা প্রশাসক হোমায়রা বেগমের সঙ্গে প্রায় আধা ঘণ্টার মতো রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন তারা। বৈঠকে চিকিৎসকরা তড়িঘড়ি করে সাজা দেওয়ার বিষয় নিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে প্রশ্ন তোলেন। এসময় জেলা প্রশাসক আপিল করলে সহযোগিতার আশ্বাস দেন চিকিৎসকদের।
আরও পড়ুন- এডিসি’র সঙ্গে ‘অসদাচরণ’, সাবেক সিভিল সার্জনকে কারাদণ্ড