দুপুর সোয়া ১২টার দিকে নাসিরনগর কলেজ মোড়ে হেলিপ্যাড মাঠে লাশবাহী হেলিকপ্টার এসে পৌঁছালে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী লাশটি গ্রহণ করেন। দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে লাখো জনতার উপস্থিতিতে ছায়েদুল হকের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়। এর আগে সকাল সোয়া ১০টার দিকে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ছায়েদুল হকের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। মন্ত্রী-এমপিসহ সব রাজনৈতিক দলের নেতারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী ক্যাপ্টেন এবি তাজুল ইসলাম জানাজায় শরিক হওয়ার পর বলেন, ‘ছায়েদুল হক ছিলেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ, সততার মূর্ত প্রতীক। তার শূন্যস্থান কিভাবে পূরণ হবে বুঝতে পারছি না। নাসিরনগরবাসীর কান্না, বিষণ্ণতাই প্রমাণ করে তিনি ছিলেন এই এলাকার অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্যক্তি।’
এদিকে মন্ত্রীর মৃত্যুতে উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তিন দিনের শোক কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার থেকে এই কর্মসূচি শুরু হবে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এটিএম মনিরুজ্জামান জানান, কর্মসূচির মধ্যে কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাচ ধারণসহ সব ধরনের বিজয় মিছিল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
জানাজায় আরও অংশ নেন সাবেক আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরু, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এবং নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ একে একরামুজ্জামান, নাসিরনগর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এবং লাখো জনতা।