কুবির বাসে হামলা, আহত ১০






কুবির বাসে হামলাকুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীদের বহনকারী বাসে বহিরাগতরা হামলা করেছে। এতে বাসের চালক ও তার সহকারীসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় কুমিল্লার দৌলতপুরে ক্যাম্পাস থেকে শহরমুখী বাসবহরে এই হামলা করা হয়। হামলকারী সন্দেহে আরিফুল ইসলাম (২৪) নামে এক তরুণ ও একটি মোটরসাইকেল আটক করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার বাসবহর ক্যাম্পাস থেকে শহরের শিক্ষার্থীদের আনতে রওয়ানা হয়। বাস শহরের অদূরে দৌলতপুর তেমাথায় পৌঁছালে একটি মোটরসাইকেল পাশ কাটিয়ে (ওভারটেক) না যেতে পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে বাসচালককে গালি দেয়। এসময় চালক সুমন চন্দ্র দাস (৩৪) প্রতিবাদ করায় মোটরসাইকেল আরোহী শান্ত (৩০) ও জালাল (২৬) নামের স্থানীয় দুই তরুণ তাকে বাস থামাতে বাধ্য করে এবং বাস থেকে নামিয়ে হেলমেট দিয়ে আঘাত করে। এরপর মোটরসাইকেল চালক শান্ত তার সাঙ্গপাঙ্গকে ফোন দিয়ে ডেকে আনে। এসময় বাসবহরের অন্যান্য চালক ও চালক-সহকারীরা এগিয়ে এলে তাদেরকেও তারা বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে এবং গাড়ির কাঁচ ভাঙচুর করে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় বাসচালক ও তার সহকারী রিপন (২৫), হাসান খান (২২), বাবুল প্রামাণিক (৩২), রবিউল হাসান সুজনসহ (২৮) কমপক্ষে ৮জন আহত হন।

আরিফুল ইসলাম হামলার কথা অস্বীকার করে জানান, বাসে হামলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন জালাল (২৬), শান্ত (৩০), রাকিব (২৫), রনি (২৫)। তারা সবাই কুমিল্লার কোতোয়ালী থানার মহিউদ্দিননগরের বাসিন্দা।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে প্রক্টরিয়াল বডির পক্ষ থেকে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা হয়েছে। অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার মো. মজিবুর রহমান মজুমদার জানান, বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারীদের মারধর করে রক্তাক্ত ও গাড়ি ভাঙচুর করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে ঘটনার তথ্য সংগ্রহ চলছে। এ বিষয়ে খুব দ্রুত থানায় মামলা করা হবে।’

কুমিল্লা কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নাহিদুল আলম বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে জেনেছি। তবে ঘটনাস্থল কোতোয়ালী থানার অধীন। এ বিষয়ে লিখিত পেলে সংশ্লিষ্ট থানা থেকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’