সম্প্রতি জুরাছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা যুবলীগ নেতা অরবিন্দু চাকমার হত্যার ঘটনায় নেতাকর্মীদের পদত্যাগের হিড়িক পড়ে। পারিবারিক ও শারীরিক কারণ উল্লেখ করে তারা পদত্যাগ করেন। তবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এসব ঘটনার জন্য শান্তিচুক্তির পক্ষের আঞ্চলিক সংগঠন জেএসএসকে দায়ী করা হয়। জেএসএসও প্রতিবার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
জুরাছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের সূত্রে জানা গেছে, ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৪ শতাধিকের বেশি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী পদত্যাগ করেছেন। তাদের অভিযোগ বিএনপি করা পাহাড়ি নেতাকর্মীদের রাজনীতি না করার ব্যাপারে কোনও চাপ দেওয়া হচ্ছে না। শুধু যারা আওয়ামী লীগ করে তাদের দল না করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। আওয়ামী লীগ নেতাদের দাবি, অপরাধীদের গ্রেফতার ও যারা অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করে, তাদের চিরুনি অভিযানের মাধ্যমে এলাকা ছাড়া করা হলে এই পদত্যাগ বন্ধ হয়ে যাবে। উল্টো পাহাড়িরা আওয়ামী লীগে যোগ দেবে।
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, ‘হুমকি-ধমকি দিয়ে এই কাজ করা হচ্ছে। আমরা কেন্দ্রীয় কমিটিকে জুরাছড়ির বর্তমান বিষয়টি জানিয়েছি। তারা যে সিদ্ধান্ত নেবে সেভাবে কাজ করবো। যদি পার্বত্য অঞ্চল থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা না হয়, তাহলে অস্ত্রের কাছে পাহাড়ি ভোটাররা জিম্মি হয়ে থাকবে। আর অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হলে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে।’
দল ছাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রাণ ভয়ে অনেকে পদত্যাগ করছে। পদত্যাগ করে যদি কারও জীবন বাঁচে তাহলে আমরা কাউকে নিষেধ করবো না।’
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মুছা মতাব্বর বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে পরিস্থিতি এমন থাকবে না। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা না হলে পার্বত্য এলাকায় শান্তি আসবে না। পার্বত্য এলাকার শান্তি ফিরিয়ে আনার অন্যতম কাজ অবৈধ অস্ত্র থেকে সাধারণ মানুষকে মুক্ত করা।’ তিনি আরও জানান, জুরাছড়ির বিষয়টি কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে অবহিত করা হয়েছে। তারা অবশ্যই একটি ব্যবস্থা নেবেন।