জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ১৬ হাজার ১৬০ জন এবং নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের ৯ হাজার ৩২৬ জন ও ঘুমধুমের কোনা পাড়ায় ৬ হাজার ৮৩৪ জন রোহিঙ্গা রয়েছে। গত ২০ অক্টোবর ’১৭ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে আশ্রয় নেওয়া ২৮ হাজার ১৬০ জন রোহিঙ্গার মধ্যে প্রথম দফায় বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ১২ হাজার রোহিঙ্গাকে কক্সবাজারের কুতুপালং ও বালুখালীতে হস্তান্তর করা হয়। আবাসস্থল ঠিক না হওয়ায় কিছুদিন বন্ধ থাকার পর আবারও ১৪ জানুয়ারি ’১৮ থেকে রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারে হস্তান্তর শুরু করেছে বান্দরবান জেলা প্রশাসন।
বর্তমানে নাইক্ষ্যংছড়ির দু’টি পয়েন্টে এখনো অবস্থানরত ১৪ হাজার ৫শ’ ১৭ জন রোহিঙ্গার জন্য ১ হাজার ২২০ কেজি চাল, ৭ বস্তা ডাল, ১৪ কেজি লবন, ৫০০ পিস শীতবস্ত্র, ১ হাজার ২০০ লিটার তেল, ৩৭ পিস টয়লেট সামগ্রী, ৬০০ পিস কম্বল, ৫১ বস্তা পুরাতন কাপড়, ৩২০ পিস কুরআন শরীফ, ২০ পিস জায়নামাজ, ৫০০ পিস লুঙ্গি, ৩০০টি কায়দা, ২১ কেজি চিঁড়া ও ২ কার্টুন ফিডার মজুদ আছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
এ ব্যাপারে নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের মফিজুর রহমান জানান, প্রশাসন দ্বিতীয় দফায় হস্তান্তর কাজ শুরু করেছে। এটি একটি ভাল উদ্যোগ। কারণ ক্যাম্পগুলো অত্যন্ত দুর্গম এলাকায় হওয়ায় রোহিঙ্গারা সব সুবিধা পাচ্ছিল না। সেখানে মোবাইল নেটওর্য়াকও নেই, তাই কোনও ঘটনা ঘটলে তা জানা যায় না। তাই তাদের সরিয়ে নিয়ে জেলা প্রশাসন অনেক ভালো কাজ করেছে।
এ ব্যাপারে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল বলেন, ‘প্রতিদিনই রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারে কুতুপালং ও বালুখালীতে হস্তান্তর করা হচ্ছে। আমরা এসব কাজে প্রশাসনকে সহযোগিতা করছি। আশা করছি খুব শিগগিরই সদরে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারে হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ করতে পারব।’
এ বিষয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক বলেন, ‘প্রতিদিনই রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তবে একদিনে তো বেশি লোক নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই একদিনে যতজনকে নেওয়া যাচ্ছে, তত জনকেই নেওয়া হয়েছে ।
তিনি আরও বলেন, ‘এখনও নাইক্ষ্যংছড়ির দু’টি পয়েন্টে ১৪ হাজার ৫১৭ জন রোহিঙ্গা রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে অল্প সময়ের মধ্যেই সব রোহিঙ্গাকে হস্তাস্তর করা সম্ভব হবে।’ হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ প্রক্রিয়াটি চলমান থাকবে।
আরও পড়ুন: রিট করেছে বিএনপি, দোষ চাপাচ্ছে আ.লীগের ওপর: ওবায়দুল কাদের