রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে খুনিদের ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে, অভিযোগ আদনানের বাবার

আদনান ইসফাররাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে খুনিদের ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহত স্কুলছাত্র আদনানের বাবা আখতারুল আজম। তিনি বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে। আমরা জানতে পেরেছি রাজনৈতিক কিছু প্রভাবশালী লোকের সহযোগিতায় খুনিদের ছাড়ানোর চেষ্টা চলছে।’

গত ১৬ জানুয়ারি নগরীর জামালখানস্থ আইডিয়াল স্কুলের সামনে ছুরিকাঘাতে খুন হয় চট্টগ্রাম কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র আদনান ইসফার।

ছেলের খুনিদের ফাঁসির দাবি জানিয়ে বাবা আখতারুল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘যেসব বড় ভাইদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে খুনিরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে আমরা তাদেরও শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে কারও কোনও শত্রুতা ছিল না। সামান্য খেলা নিয়ে বিরোধের জেরে আমার ছেলেকে খুন করা হয়েছে। আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

আদনানের মামা আবুল কালাম বলেন, ‘ছেলেকে হারিয়ে আমার বোনের পাগল অবস্থা। ছেলের শোকে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। আমরা খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘জেএসসি পরীক্ষায় আদনান সব বিষয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে। সে খেলাধুলায়ও অনেক ভালো ছিল। তার মতো একজন মেধাবী ছাত্রের অকালে ঝরে যাওয়া আমরা কোনোভাবে মানতে পারছি না।’

প্রসঙ্গত, সপ্তাহখানেক আগে মহসিন কলেজের মাঠে খেলা নিয়ে আদনান ও তার বন্ধুদের সঙ্গে জামালখান এলাকার কয়েকজনের কথা কাটাকাটি হয়। ওই ঘটনার জেরে ১৬ জানুয়ারি আদনানকে ধাওয়া দিয়ে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে খুন করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ১৮ জানুয়ারি আদনানের বাবা মঈন খান, সাব্বির, আব্দুল্লাহ আল সাঈদ, আরমান ও মুনতাসিরকে আসামি করে মামলা করেন। একই মামলায় আরও ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে আরমান ছাড়া বাকি সবাই হাজেরা তুজ ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। আরমান এসএসসি পরীক্ষার্থী। এরা নগরীর চকবাজার-গণি বেকারি এলাকার ছাত্রলীগ কর্মী হিসেবে পরিচিত।