চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) হাবিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পরীক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম আইডিয়াল স্কুলের পটিয়া শাখার শিক্ষার্থী।
হাবিবুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘পরীক্ষার্থীরা শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসে করে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি ওই বাসের শিক্ষার্থীদের কাছে প্রশ্নপত্র আছে। পরে ওই তথ্যের ভিত্তিতে সকাল সোয়া ৯টার দিকে কোতোয়ালি থানাধীন জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদের সামনে ওই বাসে তল্লাশি চালায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোরাদ আলীর নেতৃত্বে একটি টিম। এ সময় ওই বাসে থাকা ৭/৮ জন শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোনে প্রশ্নপত্র পাওয়া যায়। ওই প্রশ্নপত্রের সঙ্গে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের মিল পাওয়া যায়।’
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোরাদ আলী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা ওই বাসে তল্লাশি চালাই। এ সময় বাসে থাকা পরীক্ষার্থীদের মোবাইল ফোনে প্রশ্নপত্র পাওয়া যায়। শিক্ষার্থীরা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র আদান-প্রদান করে।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা নিশ্চিত হয়েছি শিক্ষার্থীরা সরাসরি প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত না। কারও কাছ থেকে প্রশ্নপ্রত্র পেয়ে তারা নিজেদের মধ্যে শেয়ার করেছে।’