৩০০ বছরের প্রাচীন কালভৈরব মন্দিরে চলছে বার্ষিক উৎসব

৩০০ বছরের প্রাচীন কালভৈরব মন্দিরে চলছে বার্ষিক উৎসবব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মেড্ডায় প্রায় ৩০০ বছরের প্রাচীন শ্রী শ্রী কালভৈরব মন্দিরে চলছে চার দিনব্যাপী বার্ষিক উৎসব। উপমহাদেশের অন্যতম বৃহৎ উৎসবকে কেন্দ্র করে দেশ-বিদেশের ভক্তদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে মন্দির প্রাঙ্গন। উৎসবকে কেন্দ্র করে মন্দিরের আশপাশের এলাকায় বসেছে লোকজ মেলা। 

চার দিনের এই বার্ষিকী উৎসব ও সপ্তসতি চণ্ডী যজ্ঞ শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার। মন্দিরের প্রধান পুরোহিত  মধুসূধন চক্রবর্তী জানান, মন্দির প্রাঙ্গনে বৈদিক পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।

অনুষ্ঠান সর্ম্পকে তিনি জানান, ‘৩০০ বছর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ফুলবাড়ীয়ায় দুর্গাচরণ আচার্য সপ্নাদৃষ্ট হয়ে কালভৈরব মন্দির প্রতিষ্টা করেন। পরে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ডিনামাইটের মাধ্যমে ২৫ ফুট উচ্চতার প্রতিমাটিকে ধ্বংস করে দেয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৯ সালে ড. মহানামব্রত ব্রহ্মচারী মহারাজ স্থানীয় ভক্তদের সহায়তায় মন্দিরটি আবারও প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর থেকে প্রতিবছর জীবজগতের শান্তি কামনায় প্রতিষ্টাবার্ষিকীর উৎসব ও যজ্ঞ অনুষ্ঠান হয়ে আসছে।৩০০ বছরের প্রাচীন কালভৈরব মন্দিরে চলছে বার্ষিক উৎসব

কালভৈরব উৎসব আয়োজন কমিটির সদস্য সুনীল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, বার্ষিক এ উৎসবকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থান ছাড়াও ভারত, নেপালসহ বিভিন্ন দেশ থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা পূজার উপকরণ নিয়ে মন্দির প্রাঙ্গনে আসছেন। ভক্তদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো মন্দির প্রাঙ্গন।

চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠান উপলক্ষে মন্দিরের পাশে তিতাস নদীর তীরে বসেছে লোকজ মেলা। প্রতিদিনের অনুষ্ঠানসূচির মধ্যে থাকছে যজ্ঞ-হরিনাম কীর্ত্তন, গীতাপাঠ এবং মহাপ্রসাদ বিতরণ।