ওসি বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, কয়েকদিন আগে জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে জসিম উদ্দিনকে আহ্বায়ক করে নতুন একটি কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। এই কমিটির সদস্যরা বিকাল ৩টার দিকে সরাইল শহীদ মিনার এলাকায় পরিচিতি সভা আহ্বান করে। খবর পেয়ে বিগত কমিটির সহসভাপতি গিয়াস উদ্দিন সেলু নিজেকে ছাত্রলীগের অপর একটি কমিটির আহ্বায়ক দাবি করে নতুন আহ্বায়ক কমিটির সভাটি প্রতিহতের ঘোষণা দেন। পাশপাশি একই স্থানে পাল্টা আরও একটি কর্মী সমাবেশ আহ্বান করা হয়। এ ঘটনায় সরাইল উপজেলা সদরে উত্তেজনা বিরাজ করায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
ওসি মো. মফিজ উদ্দিন ভূইয়া জানান,যে কোন ধরনের নাশকতা এড়াতে উপজেলা সদরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। যে কোন ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধে পুলিশকে সর্তক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহদাৎ হোসেন শোভন বলেন, ‘সরাইল ছাত্রলীগের ঘটনাটি পুরোনো। আমাদের জেলা ছাত্রলীগের কমিটির নেতারা মাত্র দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। চলমান ঘটনার প্রেক্ষাপটে সরাইল উপজেলা ছাত্রলীগের উভয় পক্ষের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি তাদেরকে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করার জন্য জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’