একরাম হত্যা মামলার ২০ আসামিই পলাতক

Ekram-Murder

ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একরামুল হক একরাম হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত ৫৬ জনের মধ্যে ২০ আসামিই পলাতক রয়েছে। একজন র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে। চার বছরেও আসামিদের ধরতে পারেনি পুলিশ। আজ  (মঙ্গলবার) রায়ের দিনও পলাতক আসামিরা রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

পলাতক আসামিদের মধ্যে ১১ জন প্রথম থেকেই পলাতক আর ৯ জন আদালত থেকে জামিন নিয়ে পালিয়েছে। আসামি সোহেল ওরফে রুটি সোহেল র‌্যাবের সঙ্গে বন্ধুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। ফেনী জজ আদালতের সরকারি কৌসুলী (পিপি) হাফেজ আহাম্মদ এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, আলোচিত এ হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি  ঈসমাঈল হোসেন ছুট্টু, কপিল উদ্দিন মাহমুদ আবির, টিটু, রাহাত, শরিফুল ইসলাম পিয়াস, মো. এরফান আজাদ, বাবলু, একরাম হোসেন, মোসলেহ উদ্দিন আসিফ ও মো. সাফিকুর রহমান মায়নাসহ এগার জন ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে পারেনি।

সরকারী কৌসুলী (পিপি) হাফেজ আহাম্মদ আরও জানান , এছাড়া ১৩ ফেব্রুয়ারি আসামি আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আদেল, জিয়াউল আলম মিস্টারসহ ২০ জনের জামিন বাতিল এবং চার জনের জামিন বহাল রেখেছেন আদালত। এ নিয়ে একরাম হত্যায় বিএনপি নেতা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ওরফে মিনার চৌধুরীসহ ৩৫ আসামি ফেনী কারাগারে  রয়েছে।

 প্রসঙ্গত  ২০১৪ সালের ২০ মে ফেনী শহরের একাডেমি এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে চেয়ারম্যান একরামুল হককে গাড়ির গতিরোধ করে কুপিয়ে, গুলি করে ও গাড়িসহ পুড়িয়ে হত্যা করে আসামিরা।

এ ঘটনায় চেয়ারম্যান একরামুল হকের ভাই রেজাউল হক জসিম বাদী হয়ে বিএনপি নেতা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ওরফে মিনার চৌধুরীসহ অজ্ঞাত ৩০-৩৫ জনকে আসামি করে ফেনী সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন।

তদন্ত শেষে ওই বছরের ২৮ অগাস্ট ৫৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। হত্যার প্রায় দুই বছর পর ২০১৬ এর ১৫ মার্চ ৫৬ জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরু করে আদালত। এ বছরের ২৮ জানুয়ারি এ মামলার যুক্তিতর্ক শুরু হয়। এ মামলায় ৫৯ জন সাক্ষীর মধ্যে বাদী ও  তদন্ত কর্মকর্তাসহ এ যাবত ৫০ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: বেনাপোল সীমান্তে পাচারকারীসহ ৪০ নারী-পুরুষ ও শিশু আটক


 

 

 

 

 

 

 

ফেনী জজ আদালতের সরকারী কৌসুলী (পিপি) হাফেজ আহাম্মদ বলেন, এ মামলায় ৫৯ জন সাক্ষীর মধ্যে বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ এ যাবত ৫০ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত ৫৬ জন আসামীর মধ্যে বর্তমানে ১৪ জন কারাগারে, ২৩ জন জামিনে ও ১৮ জন পলাতক রয়েছেন। এছাড়া জামিনে থাকা মো. সোহেল ওরফে রুটি সোহেল নামে একজন আসামী র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন।  পলাতকদের মধ্যে ৬জন জামিনে গিয়ে পলাতক এবং ১২ জন একরাম হত্যা মামলা দায়েরের পর থেকেই পলাতক।

 

এছাড়া গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আদালত থেকে জামিন নিয়ে পারিয়ৈ গেছেন নয় আসামি। তারা হলেন, এমরান হোসেন রাসেল িওরফে ইন্জিনিয়র রাসেল ,জাহিদুল হাসেম সৈকত, চৌধুরী মো: নাফিস উদ্দিন অনিক, মো: ইউনুস ভূঞা শামীম টপ শামিম, আবিদুল ইসলাম আবিদ, জিয়াউর রহমান বাপ্পি, নুরুল আবসার ওরফে জাহিদ চৌধুরী, আরমান হোসেন কাউসার ও জসিম উদ্দিন নয়ন।

 

 

প্রসঙ্গত;  ২০১৪ সালের ২০ মে ফেনী শহরের একাডেমি এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে চেয়ারম্যান একরামুল হককে গাড়ীর গতিরোধ করে কুপিয়ে, গুলি করে ও গাড়ীসহ পুড়িয়ে হত্যা করে আসামীরা।
এ ঘটনায় চেয়ারম্যান একরামুল হকের ভাই রেজাউল হক জসিম বাদী হয়ে বিএনপি নেতা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ওরফে মিনার চৌধুরীসহ অজ্ঞাত ৩০-৩৫ জনকে আসামী করে ফেনী সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন।