লাকসামে পৌরসভার আবর্জনায় মরছে শত শত গাছ

সড়কের পাশে ফেলা হয়েছে আবর্জনাকুমিল্লার লাকসাম-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। সড়কের প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে পৌরসভার ময়লা ফেলায় মরে গেছে শত শত গাছ। মহাসড়কের ধামৈচা, বাটিয়াভিটা, ছিলইন সেতু পূর্বপাশে লাকসাম-সোনাইমুড়ি বেরুল্লা খাল ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হচ্ছে। এসব ময়লা-আবর্জনার পচা দুর্গন্ধ ছড়িয়ে আশপাশের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে জনস্বাস্থ্য। বিষাক্ত গ্যাস ও দুর্গন্ধ প্রতিরোধে বর্জ্যে আগুন জ্বালানো হচ্ছে। এতে ওইসব এলাকার প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট ও কৃষি জমির ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। তাছাড়া আগুন জ্বালানোর কারণে সড়কের পাশের শতশত গাছ মরে যাচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়,  দেশের প্রথম শ্রেণির পৌরসভা লাকসাম পৌর এলাকায় প্রবেশের সময়ই আবর্জনার দুর্গন্ধ নাকে লাগে। স্বাগত জানানোর সাইনবোর্ডের নিচ থেকে শুরু হয়েছে আবর্জনা ফেলা। কোথাও রাস্তার পাশে ময়লা ফেলে খাল ভরাট করা হচ্ছে, কোথাও আবার রাস্তার ওপরেই ময়লা ফেলা হচ্ছে। ওই এলাকা দিয়ে যানবাহনে যাতায়াতের সময়ও নাকে তীব্র দুর্গন্ধ লাগে। ময়লা ফেলে প্রায় সময়ই তা আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ফলে আগুনের কারণে মারা যাচ্ছে সড়ক ও জনপথ বিভাগের শত শত গাছ।

আবর্জনায় দেওয়া আগুনে মরে যাচ্ছে গাছস্থানীয় শিক্ষার্থীরা জানায়, দুর্গন্ধমুক্ত করার জন্য আবর্জনায় আগুন দেওয়া হয়। কিন্তু ওই পোড়া গন্ধই এখন পথচারীদের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিনিয়ত পথচারীদের এ দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। এদিকে এসব ময়লা-আবর্জনার পচা দুর্গন্ধ ছড়িয়ে আশপাশের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।

স্থানীয় ছিলোনিয়া গ্রামের আবুল কালাম বলেন, ‘পৌরসভার উচিত নিজেদের নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলা, যাতে পরিবেশ দূষিত না হয়।’

লাকসাম পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী এটিএম মহিউদ্দিন খোন্দকার বলেন, ‘ময়লা ফেলার জন্য পাঁচ একর জায়গা নেওয়া হয়েছে। সেটি ব্যবহার উপযোগী করার পর মহাসড়কের পাশে আর ময়লা ফেলা হবে না।’

লাকসাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রফিকুল হক বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ পরিবেশবিরোধী। পৌর মেয়র এই বিষয়ে পদক্ষেপ না নিলে পরিবেশ অধিদফতরকে জানানো হবে।’

সড়ক ও জনপথ অধিদফতর কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী মোফাজ্জল হায়দার বলেন, ‘মহাসড়কের পাশে ময়লা না ফেলতে বাজার কমিটি ও পৌরসভাকে চিঠি দেওয়া হবে।’