লামায় দালালসহ ১০ রোহিঙ্গা আটক

রোহিঙ্গা সংকটবান্দরবানের লামায় এক দালালসহ শ্রমিক হিসেবে আসা ১০ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মঙ্গলবার (২০ মার্চ) রাত ৭টায় লামা পৌর শহরের লাইনঝিরি এলাকা থেকে তাদের আটক করে সেনাবাহিনীকে খবর দেয় স্থানীয়রা। প‌রে সেনাবা‌হিনী এ‌সে তা‌দের লামা ক্যা‌ম্পে নি‌য়ে যায়।

আটক রোহিঙ্গারা হলো মৌলভী হোসেন মোহাম্মদের ছেলে আয়াত উল্লাহ (২৫), মসকুব আহাংয়ের ছেলে জলিল আহাং (২৮), মো. ইউনুচের ছেলে শামসুল আলম (২৫), মো. হোসেনের ছেলে রহিম উল্লাহ (২০), আব্দুস শুক্কুরের ছেলে মো. রফিক (১৮), লালা মিয়ার ছেলে রহমত উল্লাহ (২৪), রহমত উল্লাহর ছেলে হাফেজ ইয়াছিন (২২), আব্দুল ছোবাহানের ছেলে আব্দুল মোতালিব (১৮), মৃত উলা মিয়ার ছেলে পীর মুহাম্মদ (৫২) ও ছব্বির মোহাম্মদের ছেলে মনির আহাম্মদ (২৪)।

লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আটক রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’

আটক রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের রাসিধং জেলার রাজাবিল এলাকার বাসিন্দা। এদের নিয়ে আসে লামার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বড়ছনখোলা এলাকার মৃত দুধু মিয়ার ছেলে দালাল আবু ছিদ্দিক (৪৫)। তাকেও আটক করা হয়।

আটক রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেড় মাস ধরে তারা রূপসীপাড়া ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় কাঠ শ্রমিক হিসেবে কাজ করেছে। উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের গুলিস্থান বাজারের মৃত আলী আহাম্মদের ছেলে শামসুল আলম (পুতু) তাদের উখিয়ার কুতুপালং ও ঠেংখালী শরণার্থী ক্যাম্প থেকে নিয়ে আসে। রূপসীপাড়ার ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার মো. শাহ আলম রোহিঙ্গাদের কাঠ শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ করে। তাদের গ্রু‌পে ২০ জন শ্র‌মিক ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আসার আগে বাকি ১০ জন সরে যায়।

তারা আরও জানান, নিয়মিত পারিশ্রমিক না দেওয়ায় তারা ফি‌রে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার সময় তা‌দের আটক ক‌রা হয়। আটক ১০ জনের মধ্যে তিনজন কুতুপালং ও সাতজন ঠেংখালী শরণার্থী ক্যাম্প থেকে এসেছে।

মেম্বার মো. শাহ আলম বলেন, ‘আমি শুধু তাদের কাজে নিয়েছি। আমি তো তাদের আনিনি।’