‘আমরা তদন্ত করে দেখছি কে প্রকৃত অপরাধী’

সিসিটিভি ফুটেজে অধ্যক্ষকে মারধর করতেও দেখা গেছে ছাত্রলীগ নেতা রনিকেচট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ জাহেদ খান ও মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি পরস্পরের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। অধ্যক্ষ ইতোমধ্যে আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। তবে অধ্যক্ষের দায়ের করা মামলায় ছাত্রলীগ নেতা রনিকে গ্রেফতারে কোনও অভিযান পরিচালনা করা হয়নি। রবিবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে মহানগর (চট্টগ্রাম) উপ-পুলিশ কমিশনার এসএম মোস্তাইন হোসেন জানিয়েছেন, আগে তারা তদন্ত করে দেখতে চান কে প্রকৃত অপরাধী।

বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ জাহেদ খানের দায়ের করা মামলায় শনিবার রাতে রনিকে গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে বলে কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে উপ-পুলিশ কমিশনার এসএম মোস্তাইন হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা এখনও তাকে গ্রেফতারের সিদ্ধান্তই নিইনি। তাই অভিযান চালানোর প্রশ্নই আসে না।’

এ সময় উপ-পুলিশ কমিশনার এসএম মোস্তাইন হোসেন বলেছেন, ‘রনির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ। আবার রনিও বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ৪২০ ধারায় মামলা করেছেন। তাই আমরা একটু সময় নিয়ে তদন্ত করে দেখছি কে প্রকৃত অপরাধী।’

পুলিশের এই কর্মকর্তার ভাষ্য, ‘গ্রেফতার করাটা সমাধান নয়। আমরা গ্রেফতার করলাম, তারা পরদিন আদালত থেকে জামিন নিয়ে এলেন, এতে কোনও সমাধান আসবে না।’

এর আগে উন্নয়ন ফি’র নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা করে বাড়তি আদায় করেছিল চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজ কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ওই বাড়তি ফি ফেরত নিতে গত ৩১ মার্চ কলেজে যান নুরুল আজিম রনি। তখন উত্তেজনার বশে কলেজের অধ্যক্ষ জাহেদ খানের গায়ে হাত তোলেন তিনি। এ ঘটনায় নুরুল আজিম রনিসহ সাতজনকে আসামি করে নগরীর চকবাজার থানায় মামলা দায়ের করেন অধ্যক্ষ জাহেদ খান।

চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল হুদা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রনিকে গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে এটা আপনারা কার কাছে জেনেছেন? আমরা এ ধরনের কোনও অভিযান এখনও পরিচালনা করিনি।’