নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইসি মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে গোলাগুলি ও আহত হওয়ার কোনও ধরনের লক্ষণ পাইনি। তবে, উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে সাধারণ রোহিঙ্গাদের শান্ত করে চলে আসি।’
টেকনাফ মডেল থানার ওসি রনজিত কুমার বড়ুয়া বলেন, ‘বিষয়টি শুনে সেখানে পুলিশের একটি দল পাঠানো হয়েছে।’
একাধিক সূত্রের দাবি রঙ্গিখালী, আলীখালী, লেদা-মোচনী ও জাদিমোরা এলাকার চিহ্নিত কিছু ইয়াবা চোরাকারবারি এবং সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ মিলে রোহিঙ্গা অপরাধীদের সঙ্গে মিলে ইয়াবা চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ, ছিনতাই, অবৈধ অস্ত্রের মজুদ, অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় বাণিজ্য চালিয়ে আসছে। তাদের মধ্যে গ্রুপিং হওয়ায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রায় সময় এই ঘটনা ঘটছে।
সূত্র জানিয়েছে, টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এইচ ব্লকের ছমুদা পাহাড় সংলগ্ন এলাকার ডাকাত মো. হাশিম গ্রুপ এবং নুরুল আলম গ্রুপের মধ্যে অস্ত্র বাণিজ্য, ইয়াবা চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ, অপহরণ করে মুক্তিপণ বাণিজ্যসহ আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এসময় নুরুল আলম গ্রুপের সেকেন্ড ইন কমান্ডা হাসান গুলিবর্ষণ করলে প্রতিপক্ষও গুলিবর্ষণ করে। উভয়পক্ষ ৬-৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। এতে হাশিম ডাকাত গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে।
রোহিঙ্গা নেতা ইয়াছিন বলেন,‘সশস্ত্র গ্রুপের কারণে আমরা সাধারণ রোহিঙ্গারা আতঙ্কে আছি।’