সড়কে নির্মাণ সামগ্রী, দুর্ভোগে কুমিল্লা নগরবাসী

নগরীর বাগিচাগাঁও সড়ককুমিল্লা নগরীতে সড়ক ও ড্রেনের ওপর নির্মাণ সামগ্রী রাখায় যানজট লেগেই থাকছে। ড্রেন বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতাও হচ্ছে। এতে দুর্ভোগে পড়ছেন নগরবাসী। বিশেষ করে কুমিল্লা নগরীর মনোহরপুর, ঠাকুরপাড়া, টমছম ব্রিজ ও বাগিচাগাঁও এলাকায় এই সমস্যা বেশি।

নগরবাসীর অভিযোগ- কুমিল্লা নগরী থেকে মহানগরী হয়েছে। তবে নগরীর সড়কের চিত্রের কোনও পরিবর্তন হয়নি। জাঙ্গালিয়া কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে কান্দিরপাড়, চকবাজার থেকে কান্দিরপাড়, ধর্মপুর রাণীর বাজার ভায়া কান্দিরপাড়, শাসনগাছা থেকে কান্দিরপাড় পর্যন্ত সব সড়কের অবস্থাই খারাপ। আর যানজট এখন নগরবাসীর নিত্যসঙ্গী।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মনোহরপুর এভারগ্রীণ খাদি মিউজিয়ামের নিমার্ণাধীন বহুতল ভবনের সামনে রয়েছে বালি আর ইটের স্তুপ। দিনের বেলা শহরে ট্রাক প্রবেশ নিষেধ থাকলেও নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে প্রবেশ করছে ট্রাক। রাস্তায় সাধারণ মানুষের গাড়ি থামিয়ে রেখে মালামাল উঠানো-নামানো হচ্ছে। পথচারীদের ওপর পড়ছে পানির ছিটা ও ইটের ক্ষুদ্রাংশ। মনোহরপুরে সড়কের পাশের নিমার্ণাধীন ভবনের চিত্রও একই। কোথাও ড্রেনের ওপর ইট বালু রাখায় তা বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। নগরীর বিসিক রোড ও রাণীর বাজার রামমালা সড়কেও একই অবস্থা। কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও এলাকায় মানুষ বেশি দুর্ভোগে রয়েছে। সড়ক ও ড্রেন সংস্কারের জন্য রাস্তা বন্ধ রয়েছে। ফায়ার সার্ভিস সড়কে ভবন নির্মাণকারীরা বালু ও পাথর রেখে দেওয়ায় রাস্তায় চলাচলে সমস্যা হচ্ছে।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষক মো. হেদায়েতুল্লাহ বলেন, ‘গত মাসে আমি ভারতে প্রায় ৩২ হাজার কি. মি. ভ্রমণ করেছি। পৃথিবীর বহু রাষ্ট্র ঘুরেছি। রাস্তার এমন বেহাল দশা, অনিয়ম কোথায়ও চোখে পড়েনি।’

কুমিল্লা নগরীর সড়কঅধ্যাপক ডা. জানে আলম বলেন, ‘কুচাইতলী হাসপাতাল সড়কসহ পুরো শহরের বেহাল অবস্থা বহু বছর। কিছুদিন পরপর জোড়াতালি দেওয়া হয়। যদি আর্মিকে দায়িত্ব দিয়ে রোডের সংস্কার করা যেত, হয়তো স্থায়ী সমাধান হতো।’

সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) কুমিল্লার সভাপতি বদরুল হুদা জেনু বলেন, ‘ঠাকুর পাড়ার এ সমস্যাটা আমি প্রায় ছয় মাসের মতো দেখছি। মানুষের ব্যক্তিগত মালামাল দিয়ে রাস্তা দখল করে রাখা তো ঠিক না। আমি জানি না সিটি করপোশন এ বিষয়টা জানে কিনা। এ সমস্যা যেন দ্রুত সমাধান হয়। নগরীতে যেন বারবার একই সমস্যা না হয়, এমনটাই প্রত্যাশা।’

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ‘জনদুর্ভোগের বিষয়টি সত্য। আমরা তাদেরকে অবগত করেছি। আশা করি শিগগিরই সমাধান হয়ে যাবে। মেয়ের বিয়ের কাজে গত কয়টা দিন ব্যস্ত ছিলাম। আর বৃষ্টির কারণে ড্রেনের কাজের দেরি হচ্ছে। আশা করি আগামী একমাসের মধ্যে সব কাজ সমাপ্ত করতে পারবো।’