মেঘনায় নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

মেঘনা নদীতে উদ্ধার অভিযান

মেঘনা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ভৈরব সেতু এলাকা থেকে শিক্ষার্থী মেহেরাবের লাশ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় জেলেরা লাশটি ভাসতে দেখে নৌবাহিনী ও  ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদের খবর দিলে তারা এসে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

এর আগে রবিবার বেলা ১১টার দিকে আরেক শিক্ষার্থী সানজিদা এলাহী প্রাপ্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। ঢাকা থেকে আসা নৌবাহিনী ও ময়মনসিংহ থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সদস্যরা প্রাপ্তির লাশটি উদ্ধার করেন। তারা দুজনই নটরডেম কলেজের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। শনিবার (১৪ জুলাই) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ ও ভৈরবের মধ্যবর্তী চর সোনারামপুরে তারা নিখোঁজ হয়।

নটরডেম কলেজের সম্মান শ্রেণির শিক্ষার্থী রাফসান ও আলভী জানান, শনিবার বিকাল ৫টার দিকে তারা সাত সহপাঠী ঢাকা থেকে ট্রেনে ভৈরব আসেন। সেখান থেকে নৌকা নিয়ে মেঘনা নদীতে ঘুরে বেড়ান। তাদের মধ্যে পাঁচজন ছেলে বন্ধু এবং দুইজন মেয়ে বন্ধু ছিলেন। সানজিদা এলাহী প্রাপ্তি এবং মেহেরাব মেঘনা নদীতে নেমে গোসল এবং হাঁটুপানিতে সেলফি তুলছিলেন। এ সময় পা-পিছলে তারা প্রবল স্রোতের পানিতে তলিয়ে যান। অন্য সহপাঠীরা তাদের উদ্ধারের চেষ্টার সময় তারাও তলিয়ে যাচ্ছিলেন। পরে স্থানীয় শিশু-কিশোররা এগিয়ে এসে পাঁচজনকে উদ্ধার করে। খবর পেয়ে সন্ধ্যায় ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পাঁচ শিক্ষার্থীকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেন। নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করেন তারা। কিন্তু রাত ৮টা পর্যন্ত তাদের সন্ধান না পাওয়ায় উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়।

কিশোরগঞ্জ অঞ্চলের নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম ও নৌবাহিনী ডুবুরি দলের সাব-লেফটেন্যান্ট আবু আক্কাস আলী জানান, শনিবারের উদ্ধার অভিযানের পর রবিবার সকালে ঢাকা থেকে আসা নৌবাহিনী ও ময়মনসিংহ থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সদস্যরা যৌথভাবে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। পরে বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে ভৈরব কাঠবাজারের কাছে মেঘনা নদীতে ভাসমান অবস্থায় সানজিদা এলাহী প্রাপ্তির লাশ উদ্ধার করা হয়।