চাঁদপুরে ৮ জেলের কারাদণ্ড

দণ্ডপ্রাপ্ত ৮ জেলেচাঁদপুরে ৮ জেলেকে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনা নদীর চাঁদপুর অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অমিত চক্রবর্তী ও মাহবুবুর রহমান এই দণ্ড দেন।

সাজাপ্রাপ্ত জেলেরা হলো- চাঁদপুর সদর উপজেলার গোবিন্দা গ্রামের রিপন পাটোয়ারী (২২), মো. রহিম শেখ (৩৫), মাসুদ পাটোয়ারী (৩০), তরপুরচন্ডী গ্রামের চুন্নু ভূঁইয়া (২৬), ফজলু মিয়া (৩৬), হানিফ ছৈয়াল (২২), বিষ্ণুপুর গ্রামের শরীফ (৩৮), উত্তর শ্রীরামদীর আল আমিন (৩৫)।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকী জানান, বৃহস্পতিবার সারাদিন চাঁদপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ অভিযানে ৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও দুইটি নৌকা জব্দ করা হয়। জব্দ কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ধংস করা হয়েছে। আর নৌকা দুটি নৌপুলিশের হেফাজতে রয়েছে। মামলা করা হয়েছে চারটি। তিনি বলেন, ‘প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় গত ৭ অক্টোবর থেকে ২২ দিনের জন্য নদীতে মাছ ধরা, বাজারজাতকরণ, বিতরণ, সংরক্ষণের ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তা যারা অমান্য করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘নিষিদ্ধ সময়ে নদীতে মাছ ধরার অপরাধে মৎস্য রক্ষা আইন ১৯৫০ অনুযায়ী ন্যূনতম শাস্তি হলো এক বছর। আর সর্বোচ্চ শাস্তি দুই বছর। আমার আদালতে ৫ জেলেকে আমি এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছি।’ তিনি বলেন, এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। মা ইলিশ রক্ষায় আমাদের নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, মৎস্য বিভাগ সম্মিলিতভাবে কাজ করছে। প্রতিদিন ৬টি টিম এ কাজে নিয়োজিত রয়েছে।’ বাকি তিন জেলেকে অমিত চক্রবর্তীর আদালতে শাস্তি দেওয়া হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের আরও খবর: 

দোহারে ১৫ জেলের কারাদণ্ড

রাজাপুরে তিন জেলের কারাদণ্ড

পদ্মায় ইলিশ ধরার দায়ে ১৪ জেলের দণ্ড

হালদায় ৩ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ