ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে উদ্ধার মৃতদেহ মাদ্রাসা ছাত্র আকবরের, গ্রেফতার ২

গ্রেফতার

গত ২৩ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নন্দনপুর ডুবা থেকে উদ্ধার লাশটি মাদ্রাসা ছাত্র আকবর হোসেনের বলে পুলিশ জানিয়েছে। সে ভোলার দৌলতখান উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের মো. আব্দুল মালেকের ছেলে। গত তিন সপ্তাহ অনুসন্ধ্যান চালিয়ে পুলিশ এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে নিহতের সহপাঠি মো. মাহমুদুল ও তার পূর্ব পরিচিত মো. ইকবাল নামে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, সিরাজগঞ্জের চৌহালি উপজেলার মো. সোলায়মানের ছেলে মো. মাহমুদুল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ছাতিয়াইনের মো. আবুল কাসেমের ছেলে মো. ইকবাল হোসেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা প্রাঙ্গণে সংবাদিক সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন জানান, নিহত মাদ্রাসা শিক্ষার্থী আকবর হোসেনের পকেট পাওয়া একটি ট্রেনের টিকের সুত্র ধরে নিহতের পরিচয় জানার জন্য পুলিশ অনুসন্ধ্যানে নামে। পরে চট্টগ্রামের হাটহাজারি মাদ্রসার মাধ্যমে মো. আকবর হোসেনর নাম পরিচয়সহ পরিবারের সন্ধান পায় পুলিশ। পরে পরিবারের সদস্যরা এসে তার লাশ সনাক্ত করে।

গ্রেফতারকৃতদের বরাত দিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন আরও জানান, মাহমুদুলের কাছে পাওনা ৩০ হাজার টাকা চাইতে গিয়ে আকবর খুন হয়। মাহমুদুল ও মো. ইকবাল করিবাজি চিকিৎসা করার কথা বলে গত ২১ নভেম্বর আকবরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে তাকে খাওয়া-দাওয়া করানোর পর সন্ধ্যার দিকে নন্দনপুর গ্রামের একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে আসে। প্রথমে তাকে রড দিয়ে আঘাত করার পর ইকবালের সহযোগীতায় আকবরকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। পরে গত ২৩ নভেম্বর দুপুরে আকবরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনার পর ২৬ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার এসআই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় আসামি মো. মাহমুদুল ও তার পূর্ব পরিচিত মো. ইকবাল হোসেন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃতরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. রেজাউল কবির ও সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জিয়াউল হক।