গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে বরযাত্রীবাহী মাইক্রোবাসের পাঁচ যাত্রী নিহত

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাক্রবাস গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুমড়ে মুচড়ে যায়

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার বীরপাশায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একটি বরযাত্রীবাহী মাইক্রোবাসের পাঁচ যাত্রী নিহত হয়েছেন। এসময় বরসহ আহত হয়েছেন আরও চারজন। মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সর্ভিস এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া খাটিহাতা হাইওয়ে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে হতাহতদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান।

নিহতরা হলেন—ঢাকার দক্ষিণ খিলগাঁওয়ের বাসিন্দা হাসানুজ্জামান, একই এলাকার অপু আহমেদ, তার স্ত্রী ঝুমুর আক্তার, পরশ ও রিজন সালেহীন। আহতরা হলেন— বর আশরাফুল ইসলাম শিবলী, বরযাত্রী মো. মুনতাছির ও প্রসূন কান্তি দাস। আহত একজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

আহত আশরাফুল ইসলাম শিবলী ও মো. মুনতাছির জানান, মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার খিলগাঁও থেকে একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে বরযাত্রী নিয়ে সিলেটের উপ-শহরে যাচ্ছিলো। যাওয়ার পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার বীরপাশা এলাকায় পৌঁছালে মাইক্রোবাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশের একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে-মুচড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই পাঁচজন নিহত হন। আহত হন বর আশরাফুল ইসলাম শিবলীসহ চারজন।  তাদের মধ্যে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থী প্রসূন কান্তি দাসকে গুরুতর আহতাবস্থায় এয়ার এ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। বাকিদের হবিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

মাধবপুর ফায়ার সার্ভিস অফিসের স্টেশন মাস্টার মো. রফিুকুল ইসলাম জানান, মাইক্রোবাসটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মাইক্রোবাসের পাঁচ যাত্রীর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে তাদের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে হতাহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া খাটিহাতা হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হোসেন সরকার জানান, অতিরিক্ত স্পিডের কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে তারা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছেন। তবে পরিবারের সদস্যদের ইচ্ছায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

বীরপাশা এলাকার বাসিন্দা মো. সিরাজ মিয়া ও জালাল উদ্দিন লস্কর জানান, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বীরপাসা এলাকায় মহাসড়কে একাধিক বাঁক রয়েছে। প্রায়ই সেখানে দুর্ঘটনা ঘটে। তারা মহাসড়কের সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের দাবি জানান। পাশপাশি মহাসড়কের পাশে ট্রমা সেন্টার নির্মাণেরও দাবি জানান।

হাইওয়ে পুলিশের তথ্য মতে, গত এক বছরে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের ৩৪ কিলোমিটার অংশে অন্তত ২৮টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছেন।