সাজেকে পানি সরবরাহকারী রুপন জ্যোতি চাকমা বলেন ‘রাতে একদল লোক অস্ত্র দেখিয়ে আমাদের বলে যায়, কিছু কটেজে পানি দেওয়া যাবে না। যদি দেওয়া হয়, তবে আমদের মেরে ফেলা হবে। তাই আমরা পানি দেওয়া বন্ধ করি। জীবনের মায়া তো সবার আছে। কয়েকদিন পর তারা আবার আমাদের বলে, পানি দেওয়া যাবে। তাই এখন আবার আমরা পানি দিচ্ছি।’
গর্বা কটেজের মালিক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদেরটাসহ ১০-১২টি কটেজে হঠাৎ করে পানি বন্ধ করে দেওয়া হয়। খোঁজ নিয়ে জানলাম, যারা পানি দেয় তাদের নাকি সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন জেএসএস’র লোকজন পানি দিতে নিষেধ করে গেছে। বিভিন্ন জয়গায় যোগাযোগ করার পর, বর্তমানে পানি সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে।’
সাজেক কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ন ত্রিপুার বলেন, ‘যারা পানি সরবরাহ করে তারা কয়েকটি কটেজে বন্ধ করে দেয়। হঠাৎ কী কারণে এটি হয়েছে, আমি জানি না। কিন্তু বর্তমানে পানি সরবরাহ স্বাভাবিক আছে।’
সাজেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)তদন্ত খন্দকার মোহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, ‘পানি বন্ধ ছিল শুনেছি। এ বিষয়ে আমারা মৌখিক বা লিখিত কোনও অভিযোগ পাইনি। তবে শুনেছি পানি সরবরাহ এখন স্বাভাবিক রয়েছে।’
সাজেক ভ্যালি বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি জেলার একটি বিখ্যাত পর্যটন আকর্ষণ। এটি জেলার সর্বউত্তরের মিজোরাম সীমান্তে অবস্থিত। সাজেকে মূলত লুসাই,পাংখোয়া এবং ত্রিপুরাদের বাস। রাঙামাটির অনেকটা অংশই দেখে যায় সাজেক ভ্যালি থেকে। তাই একে রাঙামাটির ছাদ বলা হয়।