তারা মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয়দের ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন।
এতে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আবুল ফয়েজ, রাঙামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ, পুলিশ সুপার আলমগীর কবির, জেলা আনসার কমান্ডার আবদুল আওয়াল, ১১ আনসার ব্যাটালিয়নের সিও রুবায়েদ বিন সালাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাদিম সারওয়ার, উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা চৈতালী চাকমা, পৌর মেয়র জাফর আলী খানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আঞ্চলিক দলগুলো পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্রের মাধ্যমে অবাধে চাঁদাবাজি করে আসছে। পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ করা না গেলে এভাবেই প্রাণ ঝরতে থাকবে। যেই নয়কিলো এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে একটি সেনা ক্যাম্প স্থাপনের দাবি করেছেন স্থানীয়রা।
পুলিশ সুপার আলমগীর কবির বলেন, ‘আমাদের তদন্ত শুরু হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে কাজ চলছে। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি ফলাফল আপনারা দেখতে পারবেন।’
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ বলেন, ‘নিহত প্রতি পরিবারকে ২০ হাজার করে টাকা এবং আহত প্রতি পরিবারকে ১০ হাজার করে টাকা দিয়েছি। সরকারি কাজ করতে গিয়ে যেসব পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। ওই পরিবারের কেউ যদি চাকরি করার যোগ্য থাকে তাদের চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। যদি কোনও পরিবারে ছোট ছেলেমেয়ে থাকে তাহলে তাদের পড়াশোনার ব্যবস্থা করা হবে।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আবুল ফয়েজ বলেন, ‘অপরাধী যত বড়ই হোক, ছাড় দেওয়া হবে না। উপজেলা প্রশাসন যদি আমাদের জায়গা দেয় তাহলে আমরা নয়কিলো এলাকায় একটি পুলিশ ফাঁড়ি করে দেবো। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
খাগড়াছড়ি হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ বাঘাইছড়িতে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। হত্যার দ্রুত বিচারের দাবিতে বিকেলে বাঘাইছড়ি ছাত্রসমাজের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।