নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ধর্ষণ: প্রধান আসামির আদালতে আত্মসমর্পণ

নোয়াখালী

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গত রবিবার রাতে স্বামীকে আটকে রেখে ছয় সন্তানের জননীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দুই আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।  বুধবার সকালে জেলার ২নং আমলি আদালতের বিচারক নবনীতা গুহ আসামি আবুল বাশারের ৩দিন ও ইউসুফ মাঝির ২দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

অপরদিকে মামলার প্রধান আসামি আবুল কালাম ওরফে বেচু মাঝি (৩৫) সকালে একই আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

চর জব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল জানান, পুলিশ এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করে এবং একজন স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছে। গ্রেফতার ৩ আসামি রুবেল, রায়হান ও আরমানকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে। মামলার অপর আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা করছে।

উল্লেখ্য, গত ৩১ মার্চ সুবর্ণচর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের নির্বাচনে ভিকটিম ও তার স্বামী চশমা প্রতীকের প্রার্থী তাজউদ্দিন বাবরকে সমর্থন করেন। সন্ধ্যায় তারা মোটরসাইকেলে চরবাগ্যা গ্রামে নিজেদের বাড়িতে যাওয়ার পথে তালা প্রতীকের প্রার্থী নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন বাহারের সমর্থক ইউসুফ মাঝির নেতৃত্বে ১০-১২ জন তাদের পথরোধ করে। পরে তাদের উত্তর বাগ্যা গ্রামের রুহুল আমিনের মৎস্য খামারের কাছে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে মারধর করে। বেচু মাঝি, বজলু ও আবুল বাসার ওই নারীকে মৎস্য খামারের পাশে কলাবাগানে নিয়ে মারধরের পর ধর্ষণ করে। এ সময় তার স্বামীর চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে। পরে রাতেই তাদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। পরের দিন নির্যাতিতার স্বামী ৮ জনের নাম উল্লেখ, অজ্ঞাত আরও চারজনসহ মোট ১২ জনকে আসামি করে চরজব্বার থানায় মামলা দায়ের করেন।