স্কুলছাত্রীকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ কোচিং শিক্ষকের বিরুদ্ধে

সাইফুল ইসলাম

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক কোচিং সেন্টারের শিক্ষকের বিরুদ্ধে। গত ১২ এপ্রিল দুপুরে লোহাগাড়া উপজেলার উত্তর আমিরাবাদের ঘোনাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। লোহাগাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জহির উদ্দিন এ তথ্য জানান।

অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম সাইফুল ইসলাম। তিনি উত্তর আমিরাবাদের বাসিন্দা। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জহির উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঘটনার দিন ওই ছাত্রীর মা বাসায় ছিলেন না। এই সুযোগে সেদিন দুপুরে ছাত্রীর বাসায় গিয়ে হাত-পা বেঁধে তাকে ধর্ষণ করে সাইফুল। এসময় চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে ১৫ এপ্রিল ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করেন। শিক্ষক সাইফুলকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাইফুল যাতে বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য আমরা বিমান ও স্থলবন্দরে বিশেষ বার্তা পাঠিয়েছি। আশা করি তাকে দ্রুত গ্রেফতার করতে পারবো।’
এজাহারে অভিযোগ করা হয়, সাইফুল ইসলাম কিছুদিন আগে উত্তর আমিরাবাদে সৃজনশীল নামে একটি কোচিং সেন্টার খোলেন। সাইফুলের অনুরোধে উত্তর আমিরাবাদ এমবি উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী, তার বোন ও দুই ভাইকে ওই কোচিং সেন্টারে ভর্তি করা হয়। তখন থেকে সাইফুলের সঙ্গে ওই ছাত্রীর পরিবারের যোগসূত্র তৈরি হয়।
ওই ছাত্রীর মা বলেন, ঘটনার আগের দিন বিশেষ কাজে আমার বড় মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে যাই। ঘটনার দিন সকাল আটটার দিকে সাইফুল আমাকে ফোন করে আমি কোথায় জানতে চায়। আমি না থাকায় সে আমার ঘরে এসে মেয়েকে একা পেয়ে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করে। পরে গুরুতর অবস্থায় মেয়েকে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। এক সপ্তাহ চিকিৎসার পর গত বৃহস্পতিবার আমরা তাকে বাড়িতে নিয়ে আসি।