যুবলীগ নেতা সোহেল হত্যা মামলার আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

বন্দুকযুদ্ধযুবলীগ নেতা মহিউদ্দিন সোহেল হত্যা মামলার আসামি জাবেদ পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে নগরীর ডবলমুরিং থানার জাম্বুরি মাঠের পাশে এ ঘটনা ঘটে।

নগর পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (ডবলমুরিং জোন) আশিকুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন। এ ঘটনায় ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সদীপ কুমার দাশ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলেও তিনি জানান।

নিহত জাবেদ মহিউদ্দিন সোহেল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। এ মামলায় গ্রেফতার আসামিরা জবানবন্দিতে জানিয়েছেন মহিউদ্দিন সোহেলকে জাবেদই ছুরিকাঘাত করেছিল।

আশিকুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গোপন সংবাদ পেয়ে পুলিশ সদস্যরা জাবেদকে গ্রেফতার করতে জাম্বুরি মাঠ এলাকায় যায়। এ সময় পুলিশের অবস্থান টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। সেখানে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তার পকেটের ভিজিটিং কার্ড দেখে আমরা শনাক্ত করি, নিহত ব্যক্তি মহিউদ্দিন সোহেল হত্যা মামলার আসামি জাবেদ।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় ডবলমুরিং থানার ওসি সদীপ কুমার দাশ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাকে পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, গত ৭ জানুয়ারি নগরীর ডবলমুরিং থানার পাহাড়তলী বাজারে ‘গণপিটুনি’তে নিহত হন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন সোহেল। তবে পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন, গণপিটুনির অজুহাত দিয়ে মহিউদ্দিন সোহেলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৮ জানুয়ারি দিবাগত রাতে মহিউদ্দিন সোহেলের ছোট ভাই মো. শাকিরুল ইসলাম শিশির স্থানীয় কাউন্সিলর সাবের আহমেদকে প্রধান আসামিসহ ২৭ জনের নামে ডবলমুরিং থানায় মামলা দায়ের করেন। অজ্ঞাত আসামি করা হয় আরও ১০০-১৫০ জনকে।