খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম জানান, পর্যটক ও স্থানীয়দের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দুর্গম এলাকায় যানবাহন চলাচল সীমিত করতে দু’দিনের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। খাগড়াছড়ি সদরের পানিবন্দি লোকজন ঘরে ফিরতে পারলেও দীঘিনালার শতাধিক পরিবার এখনও পানিবন্দি। উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ত্রাণ সরবরাহ করা হচ্ছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় সম্মিলিত উদ্যোগে কাজ করা হচ্ছে।
খাগড়াছড়িতে শুক্রবার (১২ জুলাই) সকালে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলেও দুপুরের পর থেকে আবারও ভারী বর্ষণ শুরু হয়েছে। জেলা সদর ও পানছড়ি উপজেলার নিম্নাঞ্চল থেকে পানি সরে যাওয়ায় বসতবাড়িতে ফিরে গেছেন লোকজন। দীঘিনালার মেরু এলাকার সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় রাঙামাটির লংগদুর সঙ্গে এখনও সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
গত কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণে খাগড়াছড়ি সদরের মধুপুর বাজার, জিরোমাইল, পানছড়িসহ বেশ কয়েকটি স্থানে সড়ক, কালভার্ট ও কৃষি জমির চাষাবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন।