রবিবার (১৮ আগস্ট) বিকালে চাঁদপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে পিবিআই এর চট্টগ্রাম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন এসব তথ্য জানান।
মো. ইকবাল হোসেন জানান, তদন্ত টিমের জিজ্ঞাসাবাদে আসামি জামাল ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করে ধর্ষণ ও হত্যার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছে। ঘটনার দিন দুপুরে জামাল সহযোগী আনিছুরকে সঙ্গে নিয়ে কোয়ার্টারের ভেতরে পরিত্যক্ত একটি স্কুল ঘরে ইয়াবা সেবন করে। পরে জয়ন্তির বাসার ডিশ লাইনের তার নাড়তে থাকে তারা, যেন টিভি দেখতে অসুবিধা হয়। কে তার নাড়ে তা দেখতে জয়ন্তি ঘরের দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে বাসায় ঢুকে জয়ন্তির সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু করে আনিছ। জামালও তার সঙ্গে যোগ দেয়। একপর্যায়ে জয়ন্তির মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে তারা। ধর্ষণের পর ভিকটিম ঘটনাটি সবার কাছে বলে দেওয়ার কথা বললে, ক্ষিপ্ত হয়ে জয়ন্তিকে পুনরায় ধরে ঘরের র্যাকে থাকা একটা ছোরা দিয়ে জামাল ভিকটিমের গলায় ছুরি চালায়। পরে আনিছ বাথরুম থেকে মগে করে পানি এনে রক্তমাখা ছোরাটি লাশের ওপর ধুয়ে ফেলে এবং ধর্ষণের আলামত বিনষ্টে লাশের শরীরে পানি ঢেলে দেয়। পরে ছোরাটি আগের স্থানে রেখে পালিয়ে যায় তারা।
এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, আসামি জামাল হোসেনের দেখানো মতে ওই বাসা থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছোরাটি জব্দ করা হয়েছে। জামাল হোসেন আদালতে তার দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। বিষয়টি এখনও তদন্ত চলছে। আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন—অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শংকর কুমার দাস, ইন্সপেক্টর কবির আহমদ, মীর মাহবুবুর রহমান, মো. বাচ্চু মিয়া, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শহীদ পাটোওয়ারী, সাধারণ সম্পাদক লক্ষ্মণ চন্দ্র সূত্রধর প্রমুখ।