মনোরঞ্জন দাশ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘হাটহাজারী ও বাঁশখালী থানায় দায়ের করা দুটি মামলায় মঙ্গলবার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আবেদন করা হয়েছিল। আবেদন আমলে নিয়ে দুটি মামলায় ৩৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। পাশাপাশি আদালতে উপস্থিত না থাকায় ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।’
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি হাটহাজারীতে মাদ্রাসাতুল আবু বকর-এ ‘জঙ্গিদের তাত্ত্বিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে’ অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরদিন র্যাব-৭ এর তৎকালীন সহকারী পরিচালক মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে হাটহাজারী থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে তাদের নামে মামলা করেন। এর দুই দিন পর হাটহাজারীতে গ্রেফতার হওয়া আসামিদের তথ্যের ভিত্তিতে বাঁশখালীর লটমনি পাহাড়ে জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পায় র্যাব। সেখানে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ পোশাকসহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় একই বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি বাঁশখালী থানায় র্যাবের তৎকালীন উপ-সহকারী পরিচালক গোলাম রব্বানি বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী ও অস্ত্র আইনে মামলা করেন। পরে ১৮ আগস্ট হামজা ব্রিগেডকে অর্থায়নের অভিযোগে ঢাকা থেকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা, অ্যাডভোকেট হাসানুজ্জামান লিটন ও অ্যাডভোকেট মাহফুজ চৌধুরী বাপনকে (২৫) গ্রেফতার করা হয়। তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। এরপর ২০১৬ সালের ২০ মার্চ বাঁশখালীর লটমনি পাহাড়ে জঙ্গি আস্তানা থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় সন্ত্রাস দমন আইনের মামলায় ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানাসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় র্যাব। অন্যদিকে, একই বছরের ৩ এপ্রিল হাটহাজারী থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় শাকিলাসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। অভিযোগপত্র দাখিলের তিন বছর পর আজ এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেলেন আদালত।