চট্টগ্রামে মন্দিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার

গোসাইলডাঙ্গা শ্মশান মন্দিরে পুলিশি প্রহরা

চট্টগ্রামের বিভিন্ন মন্দিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে চট্টগ্রাম নগর পুলিশ। ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষে চারজন নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাতে যাতে দুর্বৃত্তরা এসব মন্দিরে কোনও ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটাতে না পারে, সেজন্য পুলিশ এই সতর্কতামূলক অবস্থান নিয়েছে। শুধু পুলিশ নয়, তাদের পাশাপাশি সনাতন ধর্মাবলম্বী ও মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজনও মন্দির প্রহরায় রয়েছেন।

চট্টগ্রাম নগরীর গোসাইলডাঙ্গা মন্দিরে দায়িত্ব পালন করছেন বন্দর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কমিশনার মহোদয়ের নির্দেশে থানা পুলিশ নগরীর বিভিন্ন মন্দির প্রহরায় দিচ্ছে। মন্দিরে প্রহরায় থাকার পাশাপাশি পুলিশের টহল টিম পুরো নগরজুড়ে টহল দিচ্ছে।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নগরীর বারিক বিল্ডিং মোড় এলাকার গোসাইলডাঙ্গা শ্মশান মন্দির, গোসাইলডাঙ্গা রক্ষা কালিবাড়ি মন্দির, লোকনাথ মন্দির, চট্টেশ্বরী কালি মন্দির, প্রবর্তক মোড় শ্রী কৃষ্ণ মন্দির, সদরঘাট কালি মন্দিরসহ নগরীর হাজারী গলি, দক্ষিণ নালা, পাথরঘাট এলাকায় যেসব মন্দির রয়েছে, সে সব মন্দিরে বর্তমানে পুলিশ সর্তক অবস্থায় রয়েছে। শুধু হিন্দু মন্দির নয়, নগরীর যেসব এলাকায় বুদ্ধ মন্দির ও চার্চ আছে, সেগুলোর নিরাপত্তায়ও পুলিশ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।

পুলিশে পাশাপাশি এসব মন্দির ও চার্চের নিরাপত্তায় সনাতন ধর্মাবলম্বী ও মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজনও মন্দিরগুলোতে অবস্থান নিয়েছেন। মন্দিরের নিরাপত্তায় হিন্দু-মুসলিম সবাই একসঙ্গে কাজ করছেন।

গোসাইলডাঙ্গা কালি মন্দির প্রহরায় আছেন সুমন দাশ গুপ্ত। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ভোলার ঘটনার পর মন্দিরগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে আমরা শঙ্কায় রয়েছি। তবে দুর্বৃত্তরা যাতে কোনও ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে, সেজন্য পুলিশ প্রশাসন মন্দির প্রহরায় রয়েছে। তাদের সঙ্গে আমরাও মন্দির প্রহরা দিচ্ছি। মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন, বিশেষ করে স্থানীয় ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীরাও মন্দির প্রহরায় আছেন।’