অনুপ্রবেশকারী তিন আসাম নাগরিককে ফেরত নেয়নি ভারত

ফেনীফেনী সীমান্ত দিয়ে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করলে তিন ভারতীয় নাগরিককে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে তাদের ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ’র মাধ্যমে ভারতে পাঠানোর চেষ্টা করা হলে বিএসএফ তাদের ফেরত নিতে রাজি হয়নি। পরে বিকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে একই দিন সকালে বিজিবির সুবারবাজার সীমান্ত ফাঁড়ির নায়েব সুবেদার কমলেশ চন্দ্র রায় বাদী হয়ে পরশুরাম মডেল থানায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।

এই তিন ভারতীয় হলেন—বিধান চন্দ্র দাশ (৪৪), তার স্ত্রী স্বপ্না বালা দাশ (৩৫) ও ছেলে নিলয় চন্দ্র দাশ (১৩)। তারা আসাম রাজ্যের গোলাঘাট জেলার ধনশিবি মহকুমার চুঙাজান থানার কিয়াজু গাঁওয়ের বাসিন্দা।

ফেনীর ৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নাহিদুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মঙ্গলবার ফেনীর পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের ভারতীয় সীমান্ত সংলগ্ন সত্যনগর গ্রাম থেকে বিজিবির সুবারবাজার সীমান্ত ফাঁড়ির জোয়ানরা তাদের আটক করেন। তারা কোনও পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়াই বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। বিষয়টি কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে বিএসএফকে জানানো হয়। কিন্তু তারা ওই নাগরিকদের ফেরত নিতে রাজি হয়নি। আটকের সময় তাদের কাছে ভারতীয় পরিচয়পত্র, ইনকাম ট্যাক্সের কাগজপত্র, একটি মুঠোফোন এবং নগদ ২ হাজার ৪০০ টাকা পাওয়া গেছে।’

আদালত সূএ জানায়, বিধান ও স্বপ্নাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে এবং নিলয়কে গাজীপুরে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠাতে বলা হয়েছে।

বিধান চন্দ্র দাশ সাংবাদিকদের জানান, তাদের পৈত্রিক বাড়ি নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বার থানার চরভাটা গ্রামে। দুই ভাই ভারতের আসামে থাকেন এবং দুই ভাই বাংলাদেশে থাকেন। পৈত্রিক বাড়িতে বেড়ানোর উদ্দেশে আসছিলেন। তবে পাসপোর্ট-ভিসা না করে অবৈধ পথে আসার কারণে গ্রেফতার হয়েছেন।