সাধু সাধু ধ্বনিতে শেষ হলো চীবর দান উৎসব





কঠিন চীবর দান উৎসবে পূণ্যার্থীরালাখো পূণ্যার্থীর সাধু সাধু ধ্বনিতে রাঙামাটির রাজবন বিহারের দুই দিনব্যাপী ৪৬তম কঠিন চীবর দান উৎসব শেষ হয়েছে। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে গৌতম বুদ্ধ ও বনভান্তের প্রতিকৃতিতে চীবর দান ও দেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শেষ হয়। এ সময় চীবর গ্রহণ করেন রাজবন বিহারের আবাসিক প্রতিনিধি শ্রীমৎ প্রজ্ঞালঙ্কার মহাস্থবির।
চীবর দান উৎসবের আয়োজনশুক্রবার ভোর ৬টায় বুদ্ধ পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয় দেব-মানবের তথা সব প্রাণীর কল্যাণে ধর্মদেশনা। ধর্মদেশনায় উপস্থিত ছিলেন শ্রীমৎ প্রজ্ঞালঙ্কার মহাস্থবির। চীবর তৈরির পর শুক্রবার দুপুর একটায় শোভাযাত্রা সহকারে কঠিন চীবর ও কল্পতরু মঞ্চে আনা হয়। পঞ্চশীল গ্রহণের পর দুপুর আড়াইটায় বনভান্তের মানব প্রতিকৃতির উদ্দেশে কঠিন চীবর উৎসর্গ করা হয়। এ সময় লাখো পুণ্যার্থীর সাধু সাধু ধ্বনিতে মুখরিত হয় উৎসব।




চীবর দান অনুষ্ঠানে ভিক্ষুরাশ্রীমৎ প্রজ্ঞালঙ্কার মহাস্থবির উৎসবে পার্বত্য অঞ্চলসহ সারা বিশ্বের মানুষের শান্তি কামনা করেন। আগামী দিনগুলোতে মারামারি-হানাহানি যেন বন্ধ হয়, সুখে-শান্তিতে সবাই মিলে পৃথিবীতে বাস করতে পারেন, এ কামনা করেন তিনি।
দানোৎসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ির মহিলা সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় ও রানী ইয়েন ইয়েন, উপাসক-উপাসিকা পরিষদের সহ-সভাপতি গৌতমসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বেইনঘর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বৌদ্ধদের এই উৎসব। উৎসবে লক্ষাধিক লোকের সমাগম হয়।