এর আগে শনিবার বিকাল ৫টার দিকে সড়ক পথে তার মরদেহ ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ মাঠে নিয়ে আসা হয়। বাদ মাগরিব জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে বাদলের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন আওলাদে রাসুল (সা.) সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ’র (মা.জি.আ) বড় শাহাজাদা হযরত মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ কাশেম শাহ (মা.জি.আ)।
দ্বিতীয় জানাজা জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে শেষ পর্যন্ত মাঠে আয়োজন করা যায়নি। পরে ৫টা ৪০ মিনিটে মসজিদের ভেতরে বাদলের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষ জানাজায় অংশ নেন।
দ্বিতীয় জানাজায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, আবু রেজা মোহাম্মদ নিজামুদ্দিন নদভী, মাহফুজুর রহমান মিতাসহ অনেকে অংশ নেন।
পরে মসজিদ প্রাঙ্গণে পুলিশের পক্ষ থেকে একাত্তরের এই যোদ্ধাকে দেওয়া হয় গার্ড অব অনার। এ সময় লাল-সবুজের পতাকায় ঢেকে দেওয়া হয় বাদলের মরদেহ। বিউগলের সুরে সশস্ত্র সালাম জানানো হয়। পরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মহানগর আওয়ামী লীগ, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ, জাসদসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে ভারতের বেঙ্গালুরে নারায়ণ হৃদরোগ রিসার্চ ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মঈন উদ্দীন খান বাদল। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাত ৮টায় তার মরদেহ ঢাকায় এসে পৌঁছায়। এরপর শনিবার বেলা ১১টায় জাতীয় সংসদ এলাকায় তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।