জাহাজ পৌঁছানোর আগেই ট্রলারে ফিরলেন কিছু পর্যটক

সেন্টমার্টিন থেকে ট্রলারে করে ফিরছেন পর্যটকরাঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে সেন্টমার্টিনে আটকা পড়া কিছু পর্যটক ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে করে টেকনাফে ফিরেছেন। সোমবার (১১ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে চারটি স্পিডবোট ও তিনটি কাঠের ট্রলার নিয়ে দেড় শতাধিক পর্যটক টেকনাফে পৌঁছান। এর মধ্যে কিছু স্থানীয় বাসিন্দাও রয়েছেন। এর আগে সকালে পর্যটকদের আনতে টেকনাফ থেকে তিনটি জাহাজ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা দেয়। জাহাজ তিনটি এরই মধ্যে দ্বীপে পৌঁছেছে।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ট্রলারে টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপের জেটি ঘাটে পৌঁছান পর্যটক তৌহিদ আলম। তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের পর আবহাওয়া কিছুটা স্বাভাবিক থাকায় আমরা বন্ধুরা মিলে কাঠের ট্রলারে করে এসেছি। দুই দিন দ্বীপে আটকা ছিলাম। দ্বীপটি সাগরের মাঝখানে হওয়ায় ভয়টা খুব বেশি কাজ করছিল। তবে সেখানকার প্রশাসন ও স্থানীয় লোকজন অনেক সহযোগিতা করেছেন। এখন ফিরতে পেরে খুব ভালো লাগছে।’

টেকনাফ জেটিঘাটে সেন্টমার্টিন থেকে ফিরে আসা পর্যটকরা তার মতে,  সকাল থেকে কাঠের ট্রলার ও স্পিডবোট নিয়ে দেড় শতাধিকের মতো পর্যটক ও স্থানীয় লোকজন টেকনাফ এসেছেন।

তিনি বলেন, ‘আসার সময় নাফ নদীর মাঝখানে পর্যটকবাহী জাহাজ দ্বীপের দিকে যেতে দেখেছি। আমাদের আনতে জাহাজ যাবে জানলে ট্রলার নিয়ে আসতাম না। কেননা সাগরে এখনও ঢেউ রয়েছে।’  

সেন্টমার্টিন থেকে ট্রলারে করে ফিরছেন পর্যটকরাএ বিষয়ে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নূর আহমদ বলেন, চারটি স্পিডবোট ও তিনটি কাঠের ট্রলারে কিছু লোকজন টেকনাফ ও শাহপরীর দ্বীপে পৌঁছেছেন। দুপুরে দ্বীপে আটকা পড়া পর্যটকদের নিতে আসা জাহাজ পৌঁছেছে। তাদের ভালোমতো জাহাজে তুলে দেওয়া হবে। তাদের যাতে অসুবিধা না হয়, সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।’
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘পর্যটকদের ফিরিয়ে আনতে জাহাজ দ্বীপে পৌঁছেছে। বিকালে তাদের নিয়ে টেকনাফে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। তবে কিছু লোকজন ট্রলারে করে টেকনাফে এসেছেন বলে খবর পেয়েছি। জাহাজ পাঠানোর পরও কেন ট্রলারে করে লোকজন আসছে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

আরও পড়ুন:

সেন্টমার্টিনে আটকা পড়া পর্যটকরা আজ ফিরবেন