ডাবল মার্ডার মামলার আসামিসহ গ্রেফতার ৫

অস্ত্র, অস্ত্র তৈরির সঞ্জাম ও মাদকসহ পাঁচ আসামি গ্রেফতার

হত্যা, ছিনতাই চাঁদাবাজিসহ অস্ত্র বেচাকেনার সঙ্গে জড়িত থাকায় ৫ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৬ নভেম্বর) ভোর রাতে নগরীর কোতোয়ালি থানার রাণীর দিঘীর উত্তর পাড় এলাকা থেকে ইসহাক ভিলার তৃতীয় তলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মেহেদী হাসান এ তথ্য জানিয়েছেন। শনিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ কথা জানান।

গ্রেফতার ৫ জন হলেন, মো. ইয়াকুব (৩৮), মো. সিরাজুল ইসলাম মামুন (৪৩), শেখ ফরিদ আহম্মদ (৩৪), শিমুল বিশ্বাস (৫০) ও মো. আলাউদ্দিন (৪৬)। তাদের মধ্যে ফরিদ ২০১৩ সালে সিআরবিতে অনুষ্ঠিত ডাবল মার্ডার মামলার আসামি। অপর আসামি আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে মাদকসহ ছিনতাই ও চাঁদাবাজির ১৪ মামলা রয়েছে।

আসামিদের কাছ থেকে স্লাইডিং কেইস, ব্যারেল, পিস্তল গ্রিফ উইথ ট্রেগার ম্যাকানিজম, পিস্তল গ্রিফ কভারসহ অস্ত্র মেরামতের সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে ১১০টি ইয়াবা ও ২০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মেহেদী হাসান বলেন, ‘গ্রেফতার ৫ জন হত্যা মামলাসহ চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজির সঙ্গে জড়িত। শুক্রবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি টিম রাণীর দিঘীর পাড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। ওই বাসায় তারা মাদক সেবন করছিল। তাদের কাছ থেকে অস্ত্র মেরামতের সরঞ্জাম ও একটি অস্ত্রের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে ইয়াকুব নামে একজন অস্ত্র মেরামত করতেন। এ ঘটনায় আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’

মেহেদী হাসান আরও বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানিয়েছে মাদক বেচাকেনার আড়ালে আসামিরা গোপনে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রের যন্ত্রাংশ সংগ্রহ করে মজুদ করতো। পরে তা দিয়ে অস্ত্র বানিয়ে করিয়া বিক্রির পাশাপাশি বিভিন্ন অপরাধে এসব ব্যবহার করে আসছে। মাদক ব্যবসার আড়ালে তারা মূলত অস্ত্রের যোগানদাতা হিসেবে কাজ করতো।

সংবাদ সম্মেলনে নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি জোন) নোবেল চাকমা, কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন, পরিদর্শক (তদন্ত) কামরুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।