‘কোরাল বাঁচলে সেন্টমার্টিন বাঁচবে’

01মিয়ানমার সীমান্ত ঘেঁষা দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমাটিনের পরিবেশ ভারসাম্য ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় যৌথ কাজ শুরু করছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও পরিবেশ অধিদফতর। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আরও আকর্ষণীয় ও দ্বীপ রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান সংশ্লিষ্টরা।
‘কমলে দূষণ বাঁচবে দ্বীপ’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) সেন্টমাটিনের জেটিঘাট সংলগ্ন সমুদ্র সৈকত পাড়ে একটি জনসচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় ৩০ মিনিট সমুদ্র সৈকত পাড়ে ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করা হয়। এতে জনপ্রতিনিধি, স্কুল শিক্ষার্থীসহ সাধারণ জনগণ অংশ নেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন এম ওয়াসিম মকসুদ বলেন, ‘দ্বীপে দিন দিন কোরাল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দ্বীপ বাঁচিয়ে রাখতে, কোরাল বাঁচিয়ে রাখতে হবে। তাই আমাদের সবার দ্বীপের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সবার একযোগে কাজ করতে হবে, পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন কিছু করা থেকে আমাদের বিরক্ত থাকতে হবে।’
ওয়াসিম মকসুদ আরও বলেন, ‘দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে স্থানীয়দের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।’ পাশপাশি সীমান্তের মাদক ও মানবপাচার রোধে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক সোলায়মান হায়দার বলেন, ‘অতিরিক্ত পর্যটকদের চাপে সেন্টমার্টিন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে পর্যটকদের রাতযাপন নিষিদ্ধ নিয়ে নতুন করে ভাবছি। দ্বীপের সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এখন থেকে জেনারেটর, সমুদ্র সৈকতে কোনও ধরনের যানবাহান চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি রাতে সমুদ্র পাড়ে কোনও লাইট না জ্বালাতে নিষেধ করা হয়েছে। দ্বীপে অবৈধ ভবন সরিয়ে নিতে আমরা কাজ করছি।’
সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমেদ বলেন, ‘প্রথমে দ্বীপ বাঁচাতে চারদিকে জিও বাঁধ দিতে হবে, না হলে দ্বীপ রক্ষা করা সম্ভব হবে না। দ্বীপে স্থানীয় লোকজন ছাড়া সবাই মালামাল নিতে পারে এটা খুবই দুঃজনক। দ্বীপ রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর সু-দৃষ্টি কামনা করছি।’
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন- পোর্টল্যান্ড গ্রুপের পরিচালক মিজানুর রহমান মজুমদার, বিসিজি ব্রাঞ্চ (অগ্রযাত্রা) রকমান্ডার ক্যাপ্টেন এম নাজমুল হাসান, বিসিজিএম কামরুজ্জামানের অধিনায়ক কমান্ডার এম ইমাম হাসান আজাদ, পূর্ব জোনের স্টাফ অফিসার লে.কমান্ডার সাইফুল ইসলাম, কোস্ট গার্ড টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার মো. সোহেল রানাসহ অনেকে।