আর্থিক খাতে এই মুহূর্তে কোনও ঝুঁকি নেই: অর্থমন্ত্রী

কুমিল্লায় এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালপৃথিবীতে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ‘বিশ্বে যে কয়েকটি দেশের রফতানি আয় দ্রুত বাড়ছে, সেগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ একটি। এতে সবচেয়ে বড় অবদান দেশের মানুষের। আমাদের উৎপাদন আর চাহিদা নিজেরাই তৈরি করি। ফলে আর্থিক খাতে এই মুহূর্তে কোনোরকম ঝুঁকি নেই।’

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকালে কুমিল্লা নগরীর রামঘাট দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের অফিসে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে অনেক দেশের অর্থনীতিতে চরম অবস্থা বিরাজ করছে। এর প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতিতে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা দিয়েছে। চীনের প্রবৃদ্ধি ১৪ দশমিক চার শতাংশ থেকে ৭ শতাংশে নেমে গেছে। তবে বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘গত অর্থবছরে আমরা ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি। চলতি অর্থবছরে ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের প্রত্যাশা করছি; যা ২০২৪ সাল নাগাদ দাঁড়াবে ১০ শতাংশ এবং এটা অব্যাহত থাকবে।’

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘গত দুই দশকে পৃথিবীতে আরও কয়েকবার অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছিল। ১৯৯৭ সালের অর্থনৈতিক মন্দায় ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়াসহ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ চরম অবস্থায় পতিত হয়। ২০০৮ সালের বিপর্যয়ে আমেরিকাসহ অনেক দেশে চরম অবস্থা সৃষ্টি হয়। তখনও আমাদের অর্থনীতি বিপর্যের মুখোমুখি হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের রয়েছে কর্মদক্ষ যুবশক্তির সম্ভাবনা। ২০৩০ সাল নাগাদ ৩ কোটি যুবকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। তখন কারও কর্মসংস্থানের অভাব থাকবে না।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক রেলমন্ত্রী দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হক, সিনিয়র সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন, সহ-সভাপতি হাজী ইলিয়াস মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন স্বপন প্রমুখ।

এর আগে অর্থমন্ত্রী কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলায় ক্যানসার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, জন্মগত হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা সহায়তায় অর্থ অনুদানের চেক বিতরণ করেন। কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এসব অনুদান দেওয়া হয়।

অনুদান বিতরণকালে আরও উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার, লালমাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক, সমাজসেবা অধিদফতরের কর্মকর্তা এবং সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিয়া মোহাম্মদ কিয়াম উদ্দিন প্রমুখ।