চট্টগ্রাম-৮ আসনে উপ-নির্বাচন আজ

নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্ন (রবিবার রাতের ছবি)

প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ-বিএনপির প্রার্থীর অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে বলে জানিয়েছেন রিটার্নির অফিসার ও চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘ভোট গ্রহণের জন্য আমরা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। ইভিএম নিয়ে ইতোমধ্যে প্রিজাইডিং অফিসাররা কেন্দ্রে পৌঁছে গেছেন। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় ভোট গ্রহন শুরু হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নগরী ও উপজেলার ১৭০টি কেন্দ্রের এক হাজার ১৯৬টি ভোট কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন যেন সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে শেষ হয়, সেজন্য পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। আমরা আশা করছি, সবার অংশগ্রহণে একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

চট্টগ্রামে বোয়ালখালী উপজেলা, মহানগরীর চান্দগাঁও ও বায়েজিদের কিছু অংশ নিয়ে চট্টগ্রাম-৮ আসন গঠিত। এই আসনে চার লাখ ৭৪ হাজার ৪৮৫ জন ভোটার আছেন। এর মধ্যে দুই লাখ ৪১ হাজার ১৯৮ জন পুরুষ এবং দুই লাখ ৩৩ হাজার ২৮৭ জন নারী।

এবার এই আসনে মোট ছয় জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তারা হলেন- নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোছলেম উদ্দিন আহমদ, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির প্রার্থী আবু সুফিয়ান, টেলিভিশন প্রতীকে বিএনএফের এস এম আবুল কালাম আজাদ, চেয়ার প্রতীকে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ মোহাম্মদ ফরিদ আহমদ, কুড়েঘর প্রতীকে ন্যাপের বাপন দাশগুপ্ত ও আপেল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ এমদাদুল হক।

নির্বাচনে জয় নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন নৌকার মোছলেম উদ্দিন আহমদ ও ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আবু সুফিয়ান।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোছলেম উদ্দিন আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জনগণ উন্নয়ন চায়, বেঁচে থাকার গ্যারান্টি চায়, স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপনের নিশ্চয়তা চায়, তাই নৌকার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। চট্টগ্রাম-৮ আসনের বৃহত্তর স্বার্থে নৌকায় ভোট দেবে মানুষ। দিন শেষে আমরাই বিজয়ের হাসি হাসবো।’

একই অশা প্রকাশ করেছেন বিএনপির প্রার্থী আবু সুফিয়ান। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নির্বাচনি প্রচারণা চালাতে গিয়ে অনেক বাধার সম্মুখীন হয়েছি, হামলায় আক্রান্ত হয়েছি। কিন্তু জনগণের ভালোবাসায় আমরা সব বাধা-বিপত্তিকে উপেক্ষা করে আজ এই পর্যন্ত এসেছি। আমি বিশ্বাস করি, ১৩ জানুয়ারি জনগণের ভোটে সব চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে, জনগণের বিজয় নিশ্চিত করে আমরা ঘরে ফিরতে পারবো।’

তবে ইভিএম-এর ব্যবহার নিয়ে কিছুটা শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে ভোট কারচুপির ষড়যন্ত্রের খবর পাচ্ছি আমরা। ভোটে কোনও কারচুপি হলে আমরা জনগণকে নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাব। মানুষের জোয়ারের কাছে ইভিএম ষড়যন্ত্র খড়কুটোর মতো ভেসে যাবে।’