সেন্টমার্টিনে ট্রলারডুবি: নিখোঁজদের জীবিত পাওয়ার আশা নেই

noname

কক্সবাজারে টেকনাফের সেন্টমার্টিনে সাগরে রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলারডুবির ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) তৃতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান চালিয়েছে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী ও কোস্টগার্ড সদস্যরা। এদিন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে বিভিন্ন পয়েন্টে উদ্ধার অভিযান চালায় তারা। তবে উদ্ধারকারীরা বলছেন, এখন আর জীবিত কাউকে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে মৃতদেহ খুঁজে বের করতে তারা অভিযান চালিয়ে যাবেন। কিন্তু মৃতদেহগুলো পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়েও সংশয় রয়েছে।

এদিকে ট্রলারডুবিতে নিহত ১৫ জনের ময়নাতদন্ত শেষে ৯ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। অপর ৬ জনের পরিচয় নিশ্চিত হয়নি। আর যাদের জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে তাদের আদালতের নির্দেশে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জের (সিআইসি) মাধ্যমে স্ব-স্ব ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ পুলিশের ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।

বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর সেন্টমার্টিন স্টেশনের লে. কমান্ডার এসএম জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের জীবিত পাওয়ার আশা আমরা ছেড়ে দিয়েছি। মৃতদেহ পাওয়ার আশায় বৃহস্পতিবার বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্টে উদ্ধার অভিযান চালানো হয়েছে। তবে মৃতদেহগুলো পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ রয়েছে। কারণ সাগরে জোয়ারের পানির স্রোতে কোথাও না কোথায় লাশ ভেসে যেতে পারে।

টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানিয়েছেন, ট্রলারডুবির ঘটনায় ১৯জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করার পর আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। ইতিমধ্যে গ্রেফতারকৃত ৮ দালালকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও ট্রলারডুবির ঘটনায় নিহত ১৫ জনের ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। এরমধ্যে ৯ জনকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হলেও অপর ৬ জনের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। লাশগুলো কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। এছাড়াও জীবিত উদ্ধার রোহিঙ্গাদের আদালতের নির্দেশনা মতে উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত গত মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে  টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের নোয়াখালীপাড়া থেকে সাগর উপকূল হয়ে অবৈধভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় ১৩৮ রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলার সেন্টমার্টিন থেকে ৩-৪ নটিক্যাল মাইল পূর্ব-দক্ষিণে পাথরের সঙ্গে ধাক্কা লেগে পানিতে ডুবে যায়। পরে মাছ ধরার জেলেদের মাধ্যমে খবর পেয়ে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে ১৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে। এসময় দালালসহ জীবিত উদ্ধার করা হয় ৭৩জনকে। এখনও অনেকে নিখোঁজ।