খাগড়াছড়িতে পাঁচ গ্রাম লকডাউন

খাগড়াছড়ির কয়েকটি গ্রাম লকডাউন করা হয়েছেখাগড়াছড়ি সদরের পাঁচ গ্রাম স্থানীয় যুবকদের উদ্যোগে লকডাউন করে রাখা হয়েছে। খাগড়াছড়ি পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের খবংপুড়িয়া ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের শব্দমিয়া পাড়া;  ৯ নম্বর ওয়ার্ডের এপি ব্যাটালিয়ন মুসলিম পাড়া; সদর উপজেলার কমলছড়ি ও দাতকুপ্যা লকডাউনের আওতায় রয়েছে। বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকাতে এবং নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে এ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।

সরেজমিনে এপি ব্যাটালিয়ন মুসলিম পাড়া, কমলছড়ি, কাশেম স’মিল এলাকা হয়ে খবংপুড়িয়া গ্রামের প্রবেশমুখ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, গ্রামের প্রবেশমুখে বাঁশ দিয়ে অস্থায়ীভাবে ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে। ব্যারিকেডের বাঁশের ওপর লেখা 'অনির্দিষ্টকালের জন্য বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ। প্রয়োজন ছাড়া এলাকাবাসীর বাইরে যাওয়া, বাইরের খাওয়া থেকে বিরত থাকা এবং গ্রামগুলোতে প্রবেশের আগে হাত-মুখ সাবান দিয়ে ভালো করে ধোয়ার জন্য বলা হয়েছে। তবে প্রশাসন, গণমাধ্যম ও মেডিক্যাল টিম লকডাউনের আওতামুক্ত থাকবে।

খাগড়াছড়ির কয়েকটি গ্রাম লকডাউন করা হয়েছেস্বনির্ভর এলাকার বাসিন্দা অমিও চাকমা জানান, নিজেদের সুরক্ষায় কয়েকদিন যদি বের না হয়ে থাকতে হয়, তাহলে সেটি মেনে চলতে কোনও ক্ষতি নেই। আমাদের এলাকার যুব সমাজ যে উদ্যোগ নিয়েছে সেটি প্রতিবেশী ও স্থানীয়দের জন্য ইতিবাচক।

এপি ব্যাটালিয়ন মুসলিম পাড়া এলাকার মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলো তাদের সব চেষ্টা দিয়ে করোনা রুখতে ব্যর্থ হয়েছে, বিষয়টি মাথায় রেখে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক এলাকা লকডাউন করা হয়েছে। এই লকডাউন সবার স্বার্থে করা হয়েছে এবং সবাইকে এটি মানতে বাধ্য করা হবে।'

খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম বলেন, 'খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার পাঁচটি গ্রামের হাজারেরও বেশি পরিবার নিজেদের সুরক্ষায় এলাকায় বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ করেছে। এটি একটি ইতিবাচক উদ্যোগ। উপজেলা এবং জেলার প্রতিটি গ্রামেই তা চালু করার অনুরোধ করছি। পৌরসভার পক্ষ থেকে এলাকায় জীবাণুনাশক ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চলছে। হতদরিদ্রদের পাশে দাঁড়াতে নানা কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।'

খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামছুন্নাহার জানান, গ্রামবাসীর কোনও সংকট সৃষ্টি হলে তা সমাধানের জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।