আশীষ মহারাজ জানান, সেবাশ্রম কমিটি প্রতিমাসে তাকে আড়াই হাজার টাকা করে সম্মানি দেয়। গত ডিসেম্বর থেকে এর পুরোটাই তিনি জমাতে শুরু করেন বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন সম্ভব হচ্ছে না বিধায় তিনি সিদ্ধান্ত বদল করে মানবিক কাজে লাগানোর চিন্তা করেন। ইউএনওকে বিষয়টি অবগত করে টাকা দেওয়ার জন্য তার কার্যালয়ে যান।
ইউএনও তাহমিনা আক্তার রেইনা বলেন, ‘লকডাউন পরিস্থিতিতে আটকে পড়ায় ভারতের এক পরিবারের তিন জন অবস্থান করছেন ওই আশ্রমে। তাদের খাওয়া-দাওয়া বিষয়ে সরকারিভাবে সাহায্যের কথা বললেও পূজারি আশীষ সেটা নেননি। যতদূর জানি পূজারিদেরই চলতে কষ্ট হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে এমন উদ্যোগ আশা জাগানিয়া। ওই টাকা পূজারির সঙ্গে পরামর্শ করেই মানবিকখাতে ব্যয় করা হবে।’