করোনায় টেকনাফ বন্দরে ১৯ কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি

টেকনাফ স্থলবন্দর (ছবি: টেকনাফ প্রতিনিধি)করোনার প্রভাবে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে বাণিজ্যে গত দুই মাসে প্রায় ১৯ কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এরমধ্যে মে মাসে প্রায় ৮ কোটি ও এপ্রিলে ১১ কোটি টাকা রাজস্ব ঘাটতি ছিল বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (১ জুন) রাজস্ব আদায়ের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন টেকনাফ স্থল বন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা আবছার উদ্দীন। তিনি জানান, ২০১৯-২০ অর্থবছরের মে মাসে ১৫০টি বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে ৫ কোটি ৫৫ লাখ ৫৬ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। তবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) মাসিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে ১৩ কোটি ৫৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭ কোটি ৯৯ লাখ ৬৯ হাজার টাকা কম আদায় হয়েছে। এতে মিয়ানমার থেকে পণ্য আমদানি হয়েছে ৩৪ কোটি ৯২ লাখ ৩৪ হাজার টাকার।

তবে করোনায় বন্ধ থাকা পশু আমদানি মে মাসের শেষে খুলে দেওয়ায় মিয়ানমার থেকে ১ হাজার ২৮১টি গরু, ৮৫৩টি মহিষ আমদানি করে ১০ লাখ ৬৭ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় হয়।

এদিকে মিয়ানমারে ২৭টি বিল অব এক্সপোর্টের মাধ্যমে ৮৫ লাখ ৫২ হাজার টাকার দেশীয় পণ্য রফতানি করা হয়েছে। এছাড়া গত এপ্রিলে ১৪২টি বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে ২ কোটি ৬৯ লাখ ৭ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় হয়। ওই মাসেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) একই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ কোটি ৮৬ লাখ ১৮ হাজার টাকা কম আদায় হয়। এই মাসে করোনায় পশু আমদানি বন্ধ থাকায় সেই খাত থেকে কোনও ধরনের রাজস্ব আদায় হয়নি।

শুল্ক কর্মকর্তা আবছার উদ্দীন আরও জানান, করোনায় সীমান্ত বাণিজ্যের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। সারাদেশে সাধারণ ছুটি চললেও শুধু মাত্র নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির জন্য সীমিত আকারে বন্দর চালু রাখা হয়েছে। এতে এপ্রিলে পণ্য আমদানি তেমন না হলেও মে মাসে তা কিছুটা বাড়ে। তবুও মাসিক লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হয়নি।

তবে করোনার প্রভাব কেটে না যাওয়া পর্যন্ত পণ্য আমদানি ও রফতানি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে সময় লাগবে বলে মনে করেন তিনি।