বৈরুত বিস্ফোরণে নিহত কুমিল্লার রেজাউলের লাশ চান বাবা

রেজাউলের বাড়িতে শোকাহত বাবা-মা ও দুই বোন। পাশে রেজাউলের ফাইল ছবিবৈরুত বিস্ফোরণে নিহত কুমিল্লার রেজাউলের পরিবারে আহাজারি চলছে। লেবাননের বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত রেজাউল আমিন শিকদার কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মাধবপুর গ্রামের মনির শিকদারের ছেলে। থাকতেন বৈরুতের বন্দর সংলগ্ন ডাউনটাউন এলাকার আলভোর শহরে। কাজ করতেন একটি পেট্রোল পাম্পে।

প্রায় চার বছর আগে রেজাউল বৈরুত নিয়ে যান তার ছোট ভাই মাহবুব শিকদারকেও। মাহবুব আলাইয়া এলাকায় থেকে পেট্রোল পাম্পে চাকরি করেন। রেজাউলের এক মামা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার রাজিসার গ্রামের জসিমউদ্দীনও বৈরুতে থাকেন। জসিমউদ্দিন বুধবার (৫ আগস্ট) দিন গত গভীর রাতে পরিবারের কাছে ফোন করে রেজাউলের মৃত্যুর বিষয়টি জানান।

কৃষক পরিবারের সন্তান রেজাউল দীর্ঘ দিন প্রবাসে থেকে উপার্জিত অর্থ দিয়ে বাড়িতে পাকা ঘর তৈরি করেন। দুই বোন তিশা আক্তার ও লিমা আক্তারকে বিয়ে দেন। তার মৃত্যুতে পরিবারটিতে এখন চলছে শোকের মাতম।
রেজাউলের চাচাতো ভাই সেলিম শিকদার জানান, বন্দর এলাকা থেকে দূরে অবস্থানের কারণে বেঁচে যায় রেজাউলের ছোট ভাই মাহবুব শিকদার। বড় ভাইয়ের অকাল মৃত্যুতে বৈরুতের বাসায় বার বার মূর্ছা যাচ্ছিলেন মাহবুব ।

রেজাউলের বাবা মনির শিকদার জানান, বিস্ফোরণে রেজাউলের মামা জসিমউদ্দিনের এক ভাতিজা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার রাজিসার গ্রামের রাসেলও মারা যান। মনির শিকদার তার ছেলে রেজাউল আমিন শিকদারের লাশ দ্রুত দেশে আনার ব্যবস্থা করতে সরকারের প্রতি দাবি জানান।
ব্রাহ্মণপাড়া থানার ওসি আজম উদ্দিন মাহমুদ জানান, রেজাউলের মৃত্যুর বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া হয়েছে। সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক পরবর্তী প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।