বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. আলমগীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, আদালত মামলাটি গ্রহণ করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনারকে (উত্তর) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। ১ অক্টোবর মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- বায়েজিদ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম, এসআই মো. নুর নবী, এএসআই মো. শরীফুল ইসলাম, এএসআই অমিত ভট্টাচার্য্য, এএসআই মো. আশরাফুল ইসলাম, কনস্টেবল মো. সোলাইমান ও ফৌজুল করিম এবং পুলিশের সোর্স ডোনার রুবেল।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ১৩ জুলাই রাতে বায়েজিদ থানাধীন মুরাদনগর জামাল কলোনী এলাকায় পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রির বিষয়ে কথা বলার সময় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে বাদীসহ তার সঙ্গে থাকা আরও তিনজনকে থানায় ধরে নিয়ে যান। এ সময় তারা বাদীকে মারধরও করেন। থানায় নিয়ে প্রত্যেকের কাছে মুক্তির জন্য ২ লাখ টাকা করে দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়ে ক্রসফায়ারের হুমকি দেন। পরে বাদী মো. আবদুল ওয়াহেদকে ২৫ পিস ইয়াবা, তার সঙ্গে থাকা মো. হোসেনকে ২০ পিস, মো. হানিফকে ১৫ পিস ও আবুল হোসেনকে ২০ পিস ইয়াবা দিয়ে মামলা করে আদালতে চালান দেন। আদালতে চালান দেওয়ার আগে বাদী মো. আবদুল ওয়াহেদের মানিব্যাগ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা এবং মো. হোসেনের কাছ থেকে ১ হাজার টাকা নিয়ে যায় পুলিশ।