শুক্রবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যায় নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ১৬তম বার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ এই সভার আয়োজন করে।
সভায় আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালিয়ে সেদিন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টাসহ আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল।পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট আর ২০০৪ সালের ২১ আগষ্টের হামলাকারীরা এক ও অভিন্ন শক্তি। তাদের মূল লক্ষ্য বাংলাদেশকে পাকিস্তানের ধারায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া। এদেশের স্বাধীনতা হত্যা, গণতন্ত্র হত্যা করা।
মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সিডিএ চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ, সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, উপদেষ্টা শেখ মোহাম্মদ ইসহাক, সাংগঠনিক সম্পাদক সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এম রেজাউল করিম, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ ও শফিক আদনান প্রমুখ।
মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আগস্ট ট্রাজেডির নেপথ্যের কুশীলবরা যে কোন মুহূর্তে ফণা তুলবে। তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আমরা যদি বুঝতে চেষ্টা না করি এখনও কেউ নিরাপদ নই, তাহলে নিঃশেষ হয়ে যাব। তখন আমাদের সকল অর্জন ব্যর্থ হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নের যে স্বপ্ন আমরা দেখি তা কোনওভাবে ধুলিসাৎ হতে দেওয়া যাবে না। তাই আজ আমাদের একটাই অঙ্গীকার করতে হবে আমরা কোনওভাবে পাপ কাজের সঙ্গে জড়িত হবো না। আমরা এটি করতে না পারি তা হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করবে না। ইতিহাসের পাতায় অভিশপ্ত হয়ে থাকবো।
সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, জিয়াউর রহমানই ছিল বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রধান কুশীলব। রাজনৈতিক চেতনাহীন কেউ প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে না। পরিস্থিতির কারণে জিয়াউর রহমানের মত যারা মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন তারাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করেছে।