নিহত শেফালী বেগমের বড় ছেলে জসিম উদ্দিন জানান, গত কয়েক মাস ধরে জাফর বন্ধুদের সঙ্গে মাদক সেবন করে আসছে। মাদক কিনতে অনেক টাকা ঋণ হয়েছে তার। এ জন্য বিভিন্ন সময় তার মায়ের কাছে অর্থ দাবি এবং খারাপ আচরণ করতো। শুক্রবার সকালে মায়ের সঙ্গে এ নিয়ে তার কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জাফর তার মাকে বিছানায় ফেলে দা দিয়ে গলাকেটে হত্যা করে। পরে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাকে আটক করে।
রায়পুর থানা পুলিশ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রামবাসীর কাছ থেকে জাফরকে তাদের হেফাজতে নেয়। একইসঙ্গে পুলিশ শেফালী বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
রায়পুর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) আব্দুল জলিল বলেন, ‘আটক জাফরের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। ছেলেকে মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে।’